দৈনিক বার্তা- রংপুর, ২ এপ্রিল, ২০১৪ : রংপুর ও দিনাজপুর অঞ্চলের কৃষকরা গমচাষে সংরক্ষণশীল কৃষি প্রযুক্তি প্রয়োগ করে সুফল পেতে শুরু করেছে। চলতি মৌসুমে তারা বারি গম ২৬ জাতের গম চাষাবাদে এ প্রযুক্তি প্রয়োগ স্বল্প খরচে অধিক ফলন পাচ্ছে । সংরক্ষণশীল কৃষি প্রযুক্তির আওতায় বেড প্ল¬্যান্টার ও পাওয়ার টিলার অপারেটেড সিডার (পিটিওএস) মেশিন দ্বারা স্বল্পচাষে অথবা বিনাচাষে সরাসরি বারি গম ২৬ বীজ বপনের পর এখন রংপুর ও দিনাজপুর অঞ্চলের কৃষকরা তা মাড়াই করছেন। প্রাপ্ত সুফলের ওপর দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার মাটিয়াকুড়া গ্রামের কৃষক আহাম্মদ আলীর মাঠে আয়োজিত এক কৃষক মাঠ দিবসে সম্প্রতি বারি গম ২৬ কর্তন করা হয়।
অস্ট্রেলিয়ান আন্তর্জাতিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র (এসিআইএআর)-এর অর্থায়নে এবং আন্তর্জাতিক ভুট্টা ও গম উন্নয়ন কেন্দ্র (সিমিট)-এর কারিগরী সহযোগিতায় রডিআরএস বাংলাদেশ ও দিনাজপুর গম গবেষণা কেন্দ্র যৌথভাবে মাঠ পর্যায়ে সংরক্ষণশীল কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ করছে। আরডিআরএস বাংলাদেশ-এর ’সাসটেইনেবল এন্ড সিলিয়েন্ট ফামিং সিষ্টেম ইনটেনসিফিকেশন’ প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত মাঠ দিবসে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দীনেশ চন্দ্র মোহন্ত।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার নীখিল চন্দ্র বিশ্বাস। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর গম গবেষণা কেন্দ্রের উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো: আকবর হোসেন এবং মোহনপুর ইউনিয়ন ফেডারেশন সভাপতি পুনতি মুরমো। এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন আরডিআরএস বাংলাদেশ-এর রংপুর ইউনিটের প্রকল্প সমম্বয়কারী মো: সাদেকুল ই্সলাম, দিনাজপুর ইউনিটের প্রকল্প সমম্বয়কারী তপন কুমার সাহা, কৃষি অফিসার সৈয়দা নাজমা পারভিনসহ সংশি¬ষ্ট কর্মকর্তারা। এই প্রযুক্তি প্রয়োগের ফলে প্রাপ্ত সুফল সম্বন্ধে কৃষক হিসেবে বক্তব্য রাখেন নিরোদ চন্দ্র, আহম্মদ আলী, আলী মনসুর প্রমুখ। এই মাঠ দিবসে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিসহ ৬০ জন নারী ও ৫০ জন পুরুষ কৃষক-কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন। প্রকল্পের কার্যক্রমের ওপর আলোচনা করেন সিনিয়র এগ্রিকালচার অফিসার অনুপ কুমার ঘোষ। তিনি বলেন, এই প্রযুক্তি অনুসরণ করলে বিনাচাষে গম ও ভুট্টা ফসল আবাদ করা যায়।