2

বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার মর্যাদা রক্ষার ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ। এর আগে গ্রুপ-২ এর সুপার টেনের খেলায় একটি ম্যাচেও জয় পায়নি দল দুটি। অবশেষে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশকে হারালো ৭ উইকেটে।

টসে জিতে ব্যাটিং নিয়ে বাংলাদেশ দলের হয়ে ব্যাটিং সূচনা করতে আসেন তামিম ইকবাল এবং আনামুল হক বিজয়। দলীয় ৪ রানের মাথায় কোল্টার নেইলের বলে প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো শেন ওয়াটসনের হাতে ক্যাচ দেন বিজয়। চতুর্থ ওভারে আরেক ওপেন‍ার তামিম ইকবাল কোল্টার নেইলের বলে ডাগ বলিংগারের তালুবন্দ্বি হয়ে সাজঘরে ফেরেন।

তবে সাময়িক এই বিপর্যয় সামাল দেন সাকিব এবং মুশফিক। তিন নম্বরে নামা সাকিব আল হাসান এবং চার নম্বরে নামা মুশফিকুর রহিম আজ কিছুটা মারমুখি ছিলেন। দুজনে ১১২ রানের জুটি গড়েন। তাদের শতরানের জুটিতে মাত্র ৭০ বল খরচ হয়েছিল।

সাকিব ৪০ বল খেলে ক্যারিয়ারের চতুর্থ টি-টোয়েন্টি অর্ধশতক হাঁকান। আর মুশফিক ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি অর্ধশতক থেকে মাত্র ৩ রান দুরে থাকতে ওয়াটসনের বলে ডিপ মিড উইকেটে তুলে মারতে গিয়ে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের তালুবন্দ্বি হন। আউট হওয়ার আগে মুশফিক করেছেন ৩৬ বলে ৪৭ রান। যার মাঝে ৫টি চার আর একটি ছয় ছিল।

মুশফিকের বিদায়ের কিছুক্ষন পর ডাগ বলিংগারের বলে ডিপ মিড উইকেটে সাকিবও তুলে মারতে গিয়ে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের তালুবন্দ্বি হন। তবে, আউট হওয়ার আগে দলের সর্বোচ্চ রান করেন সাকিব। ৫২ বলে ৫টি চার আর ৩টি ছক্কা হাঁকান তিনি।
1
শেষ দিকে নাসিরের ১৪ রানে বাংলাদেশ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৫৩ রান করে।

পাওয়ার প্লে’র ছয় ওভারে বাংলাদেশ দুই উইকেটে করে ৩২ রান। দলীয় অর্ধশতক আসে ৪৭ বল থেকে। আর দলীয় শতক আসে ৮৩ বলে।

দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫৪ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে ‍অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ওপেন করতে আসেন ‍অ্যারন ফিঞ্চ এবং ডেভিড ওয়ার্নার। ব্যক্তিগত ৪৮ রানে (৩৫ বলে) আল আমিনের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ডেভিড ওয়ার্নার। আউট হওয়ার আগে ৫টি চার আর ৩টি চক্কা হাঁকান এই ওপেনার।

তবে আরেক ওপেনার ‍অ্যারন ফিঞ্চ ৩৫ বলে অর্ধশতক করেন। ৪৫ বলে ৭টি চার আর ৪টি ছয়ে ৭১ রান করে আল আমিনের দ্বিতীয় শিকার হন। ডিপ পয়েন্ট থেকে দৌড়ে অসাধারন ক্যাচটি লুফে নেন নাসির হোসেন।

অস্ট্রেলিয়ার দলীয় ১৪৭ রানের মাথায় অভিষেক ম্যাচে প্রথম উইকেটটি নেন তাসকিন আহমেদ। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে বোল্ড করেন ৪ ওভারে ২৪ রান দেয়া এই পেসার। ক্যামেরুন হোয়াইট ১৮ রান এবং জর্জ বেইলি ১১ রানে ক্রিজে থেকে লক্ষ্যে পৌছে দেন দলকে।

পাওয়ার প্লে’র ছয় ওভারে অসিরা করে বিনা উইকেটে ৫২ রান। দলীয় অর্ধশতক আসে ৩৫ বলে। আর শতক আসে ৭০ বলে।
অসি এবং টাইগাররা এর আগে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দুবার মুখোমুখি হয়েছিল। দু’টিতেই হেরেছিল টাইগাররা। ২০০৭ সালে কেপটাউনে ৯ উইকেটে এবং ২০১০ সালে বারবাডোজে ২৭ রানে অসিদের বিপক্ষে হারে।