শুরু থেকেই বিজেপির পক্ষে নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করার বিরোধিতা করছিলেন দলের জ্যেষ্ঠ নেতা এল কে আদভানি। তবে এবার তাঁর মুখেই শোনা গেল মোদির প্রশংসা।
গতকাল সোমবার মহারাষ্ট্রের আহমেদনগর আসনে বিজেপির প্রার্থী দিলীপ গান্ধীর পক্ষে প্রচারে অংশ নিয়ে আদভানি বলেন, মোদিকে নির্বাচিত করলে তিনি (মোদি) ভারতে পরিবর্তন আনবেন। আজ মঙ্গলবার এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
আদভানি বলেন, ‘আমরা দেশকে পাল্টে দেব। আপনাদের ভোট শুধু দিলীপ গান্ধীকেই তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আনব না, বরং এটি দেশকে পরিবর্তনে সহায়তা করবে। নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করুন। একটি ভালো সরকার গঠন করেন এবং দেখেন কী হয়।’
একই সঙ্গে আদভানি বলেন, বিজেপির পক্ষ থেকে তিনবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন এমন তিনজনের মধ্যে একজন নরেন্দ্র মোদি। তিনি এ-ও বলেন, ‘আমাদের মোদিজি একাই তিনবার নির্বাচিত হয়েছেন বিষয়টি এমন নয়, পাশাপাশি শিবরাজ সিং চৌহান ও রমন সিংও তিনবার নির্বাচিত হয়েছেন।’
মোদিকে বিজেপির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী করা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই দুই নেতার মধ্যে চলছিল ঠান্ডা লড়াই। এমনকি মোদির গুজরাটের গান্ধীনগর আসন থেকে প্রার্থী হতেও আপত্তি জানিয়েছিলেন আদভানি। ৮৬ বছর বয়সী আদভানি শিবরাজ সিং চৌহানের মধ্য প্রদেশের ভূপাল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়েছিলেন। মোদির বিরোধিতার কারণে গান্ধীনগর আসনে তাঁর জয়ের সম্ভাবনা নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন ছিলেন। অবশেষে তাঁদের মতপার্থক্য দূর হলেও এই বিরোধিতা দলের ভেতরের বিভক্তিকেই ফুটিয়ে তুলেছে।
গত সপ্তাহে যশোবন্ত সিংকে দল থেকে ছয় বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। নরেন্দ্র মোদিকে ‘নামো’ বলে সমালোচনা করায় এবং দলের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রাজস্থানের বারমের আসন থেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারে রাজি না হওয়ায় তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। এই আসনে বিজেপির পক্ষ থেকে সোনারাম চৌধুরীকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
অন্যদিকে সুষমা স্বরাজ মধ্য প্রদেশের বিদিশা আসনে নির্বাচনী প্রচার চালানোর সময় মোদির পক্ষে ভোট না চাওয়ায় বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়।