image_56322.usa pentagon1দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগের চেহারায় ফিরে যাচ্ছে মার্কিন সেনাবাহিনী। মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব চাক হ্যাগেলের বাজেট প্রস্তাব অনুযায়ী সক্রিয়ভাবে কর্তব্যরত সৈন্য সংখ্যা ৫ লক্ষ ২০ হাজার থেকে কমিয়ে সাড়ে ৪ লক্ষ করা হচ্ছে। স্নায়ু যুদ্ধের সময় ব্যবহৃত ইউ-২ গুপ্তচর বিমান এবং এ-১০ জেট বিমানকেও বসিয়ে দেওয়া হবে। এর পরেও মার্কিন প্রতিরক্ষা বাজেট ঠাণ্ডা যুদ্ধের সময়ের বাজেটের থেকে বেশি থাকবে। ১৯৪০ সালে মার্কিন সেনাবাহিনীতে সৈন্য সংখ্যা ছিলো ২ লাখ ৬৭ হাজারের কিছু বেশি।

চাক হ্যাগেল, সোমবার বলেন, বিদেশে দুটি ব্যয়বহুল যুদ্ধের পর সেনাবাহিনীর ওপর চাপ অনেক বেড়ে গিয়েছে। তাই সৈন্যসংখ্যা হ্রাস না করে উপায় নেই। এবারের বাজেট আমাদের আর্থিক চ্যালেঞ্জের বিশালতা বুঝতে সাহায্য করবে।

এই বছরের শেষে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর মার্কিন সেনাবাহিনী ৪ লাখ ৯০ হাজারে নেমে আসবে বলে মনে করা হচ্ছিল।

হ্যাগেল আরো বলেন, কোথাও আমাদের দীর্ঘদিন ধরে সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা নেই, আমাদের প্রতিরক্ষা নীতির তুলনায় সেনার বহর অনেকটাই বড়। প্রতিরক্ষা সচিব ২০১৭ সালে দেশের কিছু সামরিক ঘাঁটি বন্ধ করার প্রস্তাব দিলেও সাম্প্রতিককালে তা মার্কিন কংগ্রেসে নাকচ হয়ে গিয়েছে। একইসঙ্গে হ্যাগেল আবাসস্থল ভাতা এবং বেতন বৃদ্ধির হার কমানোর পক্ষেও কথা বলেন।

প্রতিরক্ষা বাজেট বিশেষজ্ঞ উইনস্লো হুইলার প্রস্তাবগুলোকে নিছকই হইচই বলে মনে করেন। তার মতে, সব কাটছাঁটের পরেও পারমাণবিক অস্ত্র প্রকল্প এবং আফগানিস্থান যুদ্ধের খরচ ধরলে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় ২০০৫ সালের খরচের আশে পাশে থাকবে।

তিনি এক সংবাদ সংস্থাকে বলেন, সেই খরচ কিন্তু ঠাণ্ডা যুদ্ধের খরচের তুলনায় অনেক কম। চীন আর রাশিয়া মিলিয়েও আমেরিকার থেকে প্রতিরক্ষা খাতে খরচে অনেক পিছিয়ে।

এই সিদ্ধান্ত মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে ক্যাপিটল হিলে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে পারে। বিরোধী রিপাবলিকান দল ইতিমধ্যেই পেন্টাগনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে বলেছে, এর ফলে সেনাবাহিনীর যুদ্ধের প্রস্তুতি বিঘ্নিত হবে।

এই প্রস্তাব বিনা সমালোচনায় গৃহীত হয়নি। রিপাবলিকান প্রতিনিধি মাইকেল টার্নার বলেন, এটা পিছিয়ে আসার সময় নয়। সৈন্য সংকোচন করাটা মোটেই সময়োচিত পদক্ষেপ নয়। সূত্র : এই সময়

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগের চেহারায় ফিরে যাচ্ছে মার্কিন সেনাবাহিনী। মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব চাক হ্যাগেলের বাজেট প্রস্তাব অনুযায়ী সক্রিয়ভাবে কর্তব্যরত সৈন্য সংখ্যা ৫ লক্ষ ২০ হাজার থেকে কমিয়ে সাড়ে ৪ লক্ষ করা হচ্ছে। স্নায়ু যুদ্ধের সময় ব্যবহৃত ইউ-২ গুপ্তচর বিমান এবং এ-১০ জেট বিমানকেও বসিয়ে দেওয়া হবে। এর পরেও মার্কিন প্রতিরক্ষা বাজেট ঠাণ্ডা যুদ্ধের সময়ের বাজেটের থেকে বেশি থাকবে। ১৯৪০ সালে মার্কিন সেনাবাহিনীতে সৈন্য সংখ্যা ছিলো ২ লাখ ৬৭ হাজারের কিছু বেশি।

চাক হ্যাগেল, সোমবার বলেন, বিদেশে দুটি ব্যয়বহুল যুদ্ধের পর সেনাবাহিনীর ওপর চাপ অনেক বেড়ে গিয়েছে। তাই সৈন্যসংখ্যা হ্রাস না করে উপায় নেই। এবারের বাজেট আমাদের আর্থিক চ্যালেঞ্জের বিশালতা বুঝতে সাহায্য করবে।

এই বছরের শেষে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর মার্কিন সেনাবাহিনী ৪ লাখ ৯০ হাজারে নেমে আসবে বলে মনে করা হচ্ছিল।

হ্যাগেল আরো বলেন, কোথাও আমাদের দীর্ঘদিন ধরে সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা নেই, আমাদের প্রতিরক্ষা নীতির তুলনায় সেনার বহর অনেকটাই বড়। প্রতিরক্ষা সচিব ২০১৭ সালে দেশের কিছু সামরিক ঘাঁটি বন্ধ করার প্রস্তাব দিলেও সাম্প্রতিককালে তা মার্কিন কংগ্রেসে নাকচ হয়ে গিয়েছে। একইসঙ্গে হ্যাগেল আবাসস্থল ভাতা এবং বেতন বৃদ্ধির হার কমানোর পক্ষেও কথা বলেন।

প্রতিরক্ষা বাজেট বিশেষজ্ঞ উইনস্লো হুইলার প্রস্তাবগুলোকে নিছকই হইচই বলে মনে করেন। তার মতে, সব কাটছাঁটের পরেও পারমাণবিক অস্ত্র প্রকল্প এবং আফগানিস্থান যুদ্ধের খরচ ধরলে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় ২০০৫ সালের খরচের আশে পাশে থাকবে।

তিনি এক সংবাদ সংস্থাকে বলেন, সেই খরচ কিন্তু ঠাণ্ডা যুদ্ধের খরচের তুলনায় অনেক কম। চীন আর রাশিয়া মিলিয়েও আমেরিকার থেকে প্রতিরক্ষা খাতে খরচে অনেক পিছিয়ে।

এই সিদ্ধান্ত মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে ক্যাপিটল হিলে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে পারে। বিরোধী রিপাবলিকান দল ইতিমধ্যেই পেন্টাগনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে বলেছে, এর ফলে সেনাবাহিনীর যুদ্ধের প্রস্তুতি বিঘ্নিত হবে।

এই প্রস্তাব বিনা সমালোচনায় গৃহীত হয়নি। রিপাবলিকান প্রতিনিধি মাইকেল টার্নার বলেন, এটা পিছিয়ে আসার সময় নয়। সৈন্য সংকোচন করাটা মোটেই সময়োচিত পদক্ষেপ নয়। সূত্র : এই সময় – See more at: http://www.kalerkantho.com/online/world/2014/02/26/56322#sthash.FumBgGsK.dpuf