জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ইংরেজি বিভাগের ৩৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ হত্যা মামলার চার আসামি কাঠগড়া থেকে পালিয়ে গেছেন। আসামিরা হলেন- খন্দকার আশিকুল ইসলাম আশিক, খান মো. রইছ, ইসতিয়াক মেহবুব অরূপ ও মাহবুব আকরাম।
আজ রবিবার ঢাকার চার নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল তাদের জামিন বাতিল করার সঙ্গে সঙ্গে তারা পালিয়ে যান।
ঢাকার চার নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে রবিবার হাজির হন ওই চার আসামি। মামলার একজন সাক্ষীকে মারধর করায় তাদের জামিন বাতিল করেন আদালতের বিচারক এবিএম নিজামুল হক। আদালত জামিন বাতিলের আদেশ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ তাদের আটক করার আগেই কাঠগড়া থেকে দৌঁড়ে পালিয়ে যান তারা।
এছাড়া পলাতক থাকায় অন্য দুই আসামি রাশেদুল ইসলাম রাজু ও জাহিদ হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
জুবায়ের হত্যা মামলায় চলছে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ। এ পর্যন্ত ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। আদালত ২৭ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন।
গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর জুবায়ের হত্যা মামলায় জাবির ১৩ ছাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। আসামিরা হলেন- খন্দকার আশিকুল ইসলাম আশিক, মো. রাশেদুল ইসলাম রাজু, খান মো. রইছ, জাহিদ হাসান, ইসতিয়াক মেহবুব অরূপ, মাহবুব আকরাম, নাজমুস সাকিব তপু, মাজহারুল ইসলাম, কামরুজ্জামান সোহাগ, মো. নাজমুল হুসেইন প্লাবন, শফিউল আলম সেতু, অভিনন্দন কুণ্ডু অভি ও মো. মাহমুদুল হাসান মাসুদ।
আসামিদের মধ্যে মাহবুব আকরাম ও নাজমুস সাকিব তপু ২০১২ সালের ১৫ জানুয়ারি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি বিকেলে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদকে কুপিয়ে জখম করে সন্ত্রাসীরা। পরদিন ভোরে রাজধানী একটি বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় জুবায়ের। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার হামিদুর রহমান বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।