যশরাজ ফিল্মসের ‘গুন্ডে’ ছবিটি বলিউডে মুক্তি পেয়েছে ১৪ ফেব্রুয়ারি। একই দিন কলকাতায়ও বাংলা ভাষায় ছবিটি মুক্তি দেওয়া হয়েছে। আলী আব্বাস জাফর পরিচালিত ছবিটিতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে অবমাননা করার পাশাপাশি ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি যশরাজ ফিল্মস ক্ষমা চেয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশি নাগরিকদের উদ্দেশে যশরাজ ফিল্মসের অফিসিয়াল ফেসবুক পাতায় লেখা এক বার্তায় বলা হয়েছে, ‘প্রিয় বন্ধুরা, আমাদের ছবিতে যেভাবে গল্প তুলে ধরা হয়েছে তাতে বাংলাদেশের অনেক ভাই তাঁদের আপত্তির কথা জানিয়েছেন। ছবিটির কাহিনি ও গল্প পুরোপুরি কাল্পনিক। কোনো জাতি, সমাজের বিশেষ কোনো গোত্র কিংবা কোনো ব্যক্তির প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শনের অভিপ্রায় আমাদের ছিল না। তারপরও বাংলাদেশি ভাইরা যদি আমাদের কাজ দেখে আহত হন কিংবা অশ্রদ্ধা প্রকাশ করা হয়েছে বলে মনে করেন তাহলে আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি আমরা।’
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদদের আত্মত্যাগের বিনিময়েই একটি স্বাধীন দেশের জন্ম হয়। এটা কখনোই ভোলার নয়। স্বাধীনতা অর্জনের জন্য বাংলাদেশের মানুষকে অনেক মূল্য দিতে হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষদের স্বাধীনতা সংগ্রামের কথা ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে।
ফেসবুক পাতায় আরও বলা হয়েছে, ‘যাই হোক, ‘গুন্ডে’ ছবিতে কোনোভাবেই বাংলাদেশিদের মহান আত্মত্যাগের বিষয়টিকে খাটো করে দেখানোর চেষ্টা করা হয়নি। আর ইতিহাস বিকৃতির তো প্রশ্নই ওঠে না। এর কাহিনিতে কেবল দেখানো হয়েছে, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে অনেক পরিবার ও মানুষকে দেশত্যাগে বাধ্য হতে হয়েছিল। ছবিতে এমনই একটি পরিবারের দুর্দশার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।’
যশরাজ ফিল্মস বলেছে, ‘গুন্ডে’ ছবিতে দুটি অনাথ ছেলের গল্প বলা হয়েছে। তাঁদের নামের পাশে শরণার্থী তকমা এঁটে দেওয়া হয়েছিল। সমাজে তাঁদের গ্রহণযোগ্যতা ছিল না। স্বাভাবিক জীবন-যাপনের সুযোগও তাঁদের ছিল না। এসব কারণে একটা সময়ে তাঁরা পথভ্রষ্ট হয়। কাল্পনিক এই গল্পের কারণে কারও অনুভূতিতে যদি আঘাত লেগে থাকে তবে তার দায়ভার পুরোটাই আমরা নিচ্ছি। আমাদের অসাবধানতার কারণেই এমনটা হয়েছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, কারও মনে আঘাত দেওয়ার অভিপ্রায় আমাদের ছিল না। তারপরও কেউ যদি আঘাত পেয়ে থাকেন তবে আবারও আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি আমরা।