২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত জাতি।শুক্রবার রাত ১২টা ১ মিনিটে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে জাতি। ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন। এছাড়া তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে দলে দলে মানুষ জড়ো হবে প্রেরণার উৎস শহীদ মিনারে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বানী দিয়েছেন।
বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ১৯৫২ সালের এই দিনে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিল বাংলার বীর সন্তানেরা। শহীদ হয়েছিলেন রফিক, জব্বার, বরকত, সালামসহ নাম না জানা বাংলা মায়ের অনেক সন্তান। প্রতিবছরের মতো এ বছরও এই দিনটি উদযাপনের জন্য যথাযথ কর্মসূিচ হাতে নিয়েছে সরকার। ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে অসংখ্য মানুষ জড়ো হবে। রাত ১২টায় হবে অমর একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহর।
প্রতিবছরের এই একটি দিনের যাবতীয় নিরাপত্তা ও পরিচালনার দায়িত্ব পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের হাতে। তবে এ বছর একটু ভিন্নরকম নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
দিবসটি যথাযথভাবে উদ্যাপনের লক্ষে সরকারসহ বিভিন্ন সংগঠন দিনব্যাপি নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ দিন দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। এ দিন সরকারি ছুটির দিন।
মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতিতে ঋদ্ধ হয়ে অন্যের ভাষা ও সংস্কৃতিকে শ্রদ্ধা জানানোর মধ্যে নিহিত আছে ভাষা আন্দোলনের মূল চেতনা। একুশে ফেব্রুয়ারি এখন আর এককভাবে এদেশের অধিবাসীদের সম্পদ নয়, এটি এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে বিশ্বের সকল ভাষাভাষীর প্রেরণার উৎস। তিনি আশা প্রকাশ করেন, মহান ভাষা দিবসে আজ পৃথিবীর সব ভাষাভাষী মানুষের সাথে যোগসূত্র স্থাপিত হোক পৃথিবীতে লুপ্ত প্রায় ভাষাগুলো আপন মহিমায় নিজ নিজ সম্প্রদায়ের মধ্যে উজ্জীবিত হোক। রাষ্ট্রপতি মহান ‘শহিদ দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা’ দিবস উপলক্ষে পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের অম্লান স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সকল প্রকার ভেদাভেদ ভুলে একুশের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, অমর একুশে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতীক। সরকার একুশের চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে ধারণ করে ক্ষুধা, দারিদ্র্য, সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িকতামুক্ত আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে যে যাত্রা শুরু করেছিল গত পাঁচ বছরে প্রতিটি ক্ষেত্রেই কাক্সিক্ষত অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে তিনি বাংলা ভাষাভাষীসহ বিশ্বের সকল ভাষা ও সংস্কৃতির জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, মহান একুশে ফেব্রুয়ারি প্রতিটি বাঙালির শোক, শক্তি ও গৌরবের প্রতীক।
ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন। এছাড়া কূটনৈতিকবৃন্দ, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, ভাষা সৈনিক, স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার ও বিরোধীদলীয় নেত্রীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিকদল শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। তাদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর শহীদ মিনার সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।
দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে সকল সরকারি-বেসরকারি টেলিভিশন, রেডিও এবং কমিউনিটি রেডিও ব্যাপক অনুষ্ঠানমালা প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। জাতীয় দৈনিকসমূহে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ঢাকা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দ্বীপসমূহ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে বর্ণমালা সম্বলিত ফেস্টুন দ্বারা সজ্জিত করা হবে।
আজিমপুর কবরস্থান থেকে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার পর্যন্ত রাস্তায় অতিরিক্ত জনসমাগম ও ভিড় নিয়ন্ত্রণে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা প্রয়োজনীয় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও র্যাবসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা প্রদান করবে। ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি শহিদ মিনার, আজিমপুর কবরস্থান ও সংলগ্ন এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করবে।
বাংলা একাডেমিতে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে মাসব্যাপী বইমেলা চলছে। শিল্পকলা একাডেমি, শিশু একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, নজরুল ইনস্টিটিউট, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট শহীদ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, সেমিনার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আবৃত্তি, নান্দনিক হস্তাক্ষর লেখা প্রতিযোগিতা, রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম চত্বরে গ্রš’মেলার আয়োজন করা হবে।
ঢাকা ওয়াসা শহীদ মিনার সংলগ্ন এলাকায় ১০টি পয়েন্টে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে শহীদ মিনার এলাকায় ১০টি ভ্রাম্যমান টয়লেট স্থাপন করা হবে। জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজনে শহীদ মিনার এলাকায় এবং বাংলা একাডেমি বইমেলা চলাকালীন সময়ে ৩টি সার্বক্ষণিক চিকিৎসা ক্যাম্প স্থাপন করা হবে।
জাতীয় কর্মসূচির সাথে সামঞ্জস্য রেখে মাদ্রাসাসহ দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষে স্ব স্ব কর্মসূচি গ্রহণ করবে। দেশের সকল মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে ভাষা শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ওপ্রার্থনার আয়োজন করা হবে। সকল জেলা ও উপজেলা সদরে দিবসটি পালনের লক্ষ্যে জাতীয় কর্মসূচির সাথে সংগতি রেখে স্ব স্ব কর্মসূচি পালন করবে। বিদেশে অবস্থিত মিশনসমূহে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস যথাযথভাবে উদ্যাপিত হবে।
প্রথম প্রহরে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর থেকেই প্রতিবছর ঢুকতে হয়। এজন্য ঢাবি থেকে দেয়া একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে আলাদা নিরাপত্তা কার্ড দেখাতে হয়। এ বছরও এই পথ দিয়েই প্রথম প্রহরে শ্রদ্ধা নিবেদনকারীরা প্রবেশ করবেন। তবে প্রতিবছর ফুল, ব্যানার, ফেস্টুন বা পুস্পস্তবক নিয়ে ঢুকতে দেওয়া হলেও এবার এসবের কোনো কিছু নিয়েই ঢুকতে দেওয়া হবে না। নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রবেশপথসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথে চেকপোষ্ট ও পুলিশ, র্যাব, বিজিবিসহ নিরাপত্তা কর্মীরা নিয়োজিত থাকবেন।
আজ রাত ৯টার পর থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকার সংযুক্ত এবং একুশে ফেব্রুয়ারির জন্য স্পেশাল নিরাপত্তা পাশ ছাড়া কোনো গাড়ি বিশ্ববিদ্যালয়ের আভ্যন্তরে বা শহীদ মিনারের আশপাশে ঢুকতে দেওয়া হবে না। একুশে ফেব্রুয়ারি সারাদিন এই নিয়ম চালু থাকবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাবি ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক
বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ১৯৫২ সালের এই দিনে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিল বাংলার বীর সন্তানেরা। শহীদ হয়েছিলেন রফিক, জব্বার, বরকত, সালামসহ নাম না জানা বাংলা মায়ের অনেক সন্তান। প্রতিবছরের মতো এ বছরও এই দিনটি উদযাপনের জন্য যথাযথ কর্মসূিচ হাতে নিয়েছে সরকার। ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে অসংখ্য মানুষ জড়ো হবে। রাত ১২টায় হবে অমর একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহর।
প্রতিবছরের এই একটি দিনের যাবতীয় নিরাপত্তা ও পরিচালনার দায়িত্ব পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের হাতে। তবে এ বছর একটু ভিন্নরকম নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
দিবসটি যথাযথভাবে উদ্যাপনের লক্ষে সরকারসহ বিভিন্ন সংগঠন দিনব্যাপি নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ দিন দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। এ দিন সরকারি ছুটির দিন।
মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতিতে ঋদ্ধ হয়ে অন্যের ভাষা ও সংস্কৃতিকে শ্রদ্ধা জানানোর মধ্যে নিহিত আছে ভাষা আন্দোলনের মূল চেতনা। একুশে ফেব্রুয়ারি এখন আর এককভাবে এদেশের অধিবাসীদের সম্পদ নয়, এটি এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে বিশ্বের সকল ভাষাভাষীর প্রেরণার উৎস। তিনি আশা প্রকাশ করেন, মহান ভাষা দিবসে আজ পৃথিবীর সব ভাষাভাষী মানুষের সাথে যোগসূত্র স্থাপিত হোক পৃথিবীতে লুপ্ত প্রায় ভাষাগুলো আপন মহিমায় নিজ নিজ সম্প্রদায়ের মধ্যে উজ্জীবিত হোক। রাষ্ট্রপতি মহান ‘শহিদ দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা’ দিবস উপলক্ষে পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের অম্লান স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সকল প্রকার ভেদাভেদ ভুলে একুশের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, অমর একুশে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতীক। সরকার একুশের চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে ধারণ করে ক্ষুধা, দারিদ্র্য, সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িকতামুক্ত আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে যে যাত্রা শুরু করেছিল গত পাঁচ বছরে প্রতিটি ক্ষেত্রেই কাক্সিক্ষত অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে তিনি বাংলা ভাষাভাষীসহ বিশ্বের সকল ভাষা ও সংস্কৃতির জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, মহান একুশে ফেব্রুয়ারি প্রতিটি বাঙালির শোক, শক্তি ও গৌরবের প্রতীক।
ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন। এছাড়া কূটনৈতিকবৃন্দ, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, ভাষা সৈনিক, স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার ও বিরোধীদলীয় নেত্রীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিকদল শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। তাদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর শহীদ মিনার সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।
দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে সকল সরকারি-বেসরকারি টেলিভিশন, রেডিও এবং কমিউনিটি রেডিও ব্যাপক অনুষ্ঠানমালা প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। জাতীয় দৈনিকসমূহে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ঢাকা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দ্বীপসমূহ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে বর্ণমালা সম্বলিত ফেস্টুন দ্বারা সজ্জিত করা হবে।
আজিমপুর কবরস্থান থেকে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার পর্যন্ত রাস্তায় অতিরিক্ত জনসমাগম ও ভিড় নিয়ন্ত্রণে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা প্রয়োজনীয় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও র্যাবসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা প্রদান করবে। ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি শহিদ মিনার, আজিমপুর কবরস্থান ও সংলগ্ন এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করবে।
বাংলা একাডেমিতে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে মাসব্যাপী বইমেলা চলছে। শিল্পকলা একাডেমি, শিশু একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, নজরুল ইনস্টিটিউট, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট শহীদ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, সেমিনার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আবৃত্তি, নান্দনিক হস্তাক্ষর লেখা প্রতিযোগিতা, রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম চত্বরে গ্রš’মেলার আয়োজন করা হবে।
ঢাকা ওয়াসা শহীদ মিনার সংলগ্ন এলাকায় ১০টি পয়েন্টে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে শহীদ মিনার এলাকায় ১০টি ভ্রাম্যমান টয়লেট স্থাপন করা হবে। জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজনে শহীদ মিনার এলাকায় এবং বাংলা একাডেমি বইমেলা চলাকালীন সময়ে ৩টি সার্বক্ষণিক চিকিৎসা ক্যাম্প স্থাপন করা হবে।
জাতীয় কর্মসূচির সাথে সামঞ্জস্য রেখে মাদ্রাসাসহ দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষে স্ব স্ব কর্মসূচি গ্রহণ করবে। দেশের সকল মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে ভাষা শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ওপ্রার্থনার আয়োজন করা হবে। সকল জেলা ও উপজেলা সদরে দিবসটি পালনের লক্ষ্যে জাতীয় কর্মসূচির সাথে সংগতি রেখে স্ব স্ব কর্মসূচি পালন করবে। বিদেশে অবস্থিত মিশনসমূহে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস যথাযথভাবে উদ্যাপিত হবে।
প্রথম প্রহরে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর থেকেই প্রতিবছর ঢুকতে হয়। এজন্য ঢাবি থেকে দেয়া একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে আলাদা নিরাপত্তা কার্ড দেখাতে হয়। এ বছরও এই পথ দিয়েই প্রথম প্রহরে শ্রদ্ধা নিবেদনকারীরা প্রবেশ করবেন। তবে প্রতিবছর ফুল, ব্যানার, ফেস্টুন বা পুস্পস্তবক নিয়ে ঢুকতে দেওয়া হলেও এবার এসবের কোনো কিছু নিয়েই ঢুকতে দেওয়া হবে না। নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রবেশপথসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথে চেকপোষ্ট ও পুলিশ, র্যাব, বিজিবিসহ নিরাপত্তা কর্মীরা নিয়োজিত থাকবেন।
আজ রাত ৯টার পর থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকার সংযুক্ত এবং একুশে ফেব্রুয়ারির জন্য স্পেশাল নিরাপত্তা পাশ ছাড়া কোনো গাড়ি বিশ্ববিদ্যালয়ের আভ্যন্তরে বা শহীদ মিনারের আশপাশে ঢুকতে দেওয়া হবে না। একুশে ফেব্রুয়ারি সারাদিন এই নিয়ম চালু থাকবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাবি ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক
আগামীকাল ২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত জাতি। আর কয়েক বাদে শুক্রবার রাত ১২টা ১ মিনিটে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে জাতি। ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন। এছাড়া তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে দলে দলে মানুষ জড়ো হবে প্রেরণার উৎস শহীদ মিনারে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বানী দিয়েছেন।
বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ১৯৫২ সালের এই দিনে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিল বাংলার বীর সন্তানেরা। শহীদ হয়েছিলেন রফিক, জব্বার, বরকত, সালামসহ নাম না জানা বাংলা মায়ের অনেক সন্তান। প্রতিবছরের মতো এ বছরও এই দিনটি উদযাপনের জন্য যথাযথ কর্মসূিচ হাতে নিয়েছে সরকার। ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে অসংখ্য মানুষ জড়ো হবে। রাত ১২টায় হবে অমর একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহর।
প্রতিবছরের এই একটি দিনের যাবতীয় নিরাপত্তা ও পরিচালনার দায়িত্ব পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের হাতে। তবে এ বছর একটু ভিন্নরকম নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
দিবসটি যথাযথভাবে উদ্যাপনের লক্ষে সরকারসহ বিভিন্ন সংগঠন দিনব্যাপি নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ দিন দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। এ দিন সরকারি ছুটির দিন।
মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতিতে ঋদ্ধ হয়ে অন্যের ভাষা ও সংস্কৃতিকে শ্রদ্ধা জানানোর মধ্যে নিহিত আছে ভাষা আন্দোলনের মূল চেতনা। একুশে ফেব্রুয়ারি এখন আর এককভাবে এদেশের অধিবাসীদের সম্পদ নয়, এটি এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে বিশ্বের সকল ভাষাভাষীর প্রেরণার উৎস। তিনি আশা প্রকাশ করেন, মহান ভাষা দিবসে আজ পৃথিবীর সব ভাষাভাষী মানুষের সাথে যোগসূত্র স্থাপিত হোক পৃথিবীতে লুপ্ত প্রায় ভাষাগুলো আপন মহিমায় নিজ নিজ সম্প্রদায়ের মধ্যে উজ্জীবিত হোক। রাষ্ট্রপতি মহান ‘শহিদ দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা’ দিবস উপলক্ষে পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের অম্লান স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সকল প্রকার ভেদাভেদ ভুলে একুশের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, অমর একুশে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতীক। সরকার একুশের চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে ধারণ করে ক্ষুধা, দারিদ্র্য, সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িকতামুক্ত আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে যে যাত্রা শুরু করেছিল গত পাঁচ বছরে প্রতিটি ক্ষেত্রেই কাক্সিক্ষত অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে তিনি বাংলা ভাষাভাষীসহ বিশ্বের সকল ভাষা ও সংস্কৃতির জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, মহান একুশে ফেব্রুয়ারি প্রতিটি বাঙালির শোক, শক্তি ও গৌরবের প্রতীক।
ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন। এছাড়া কূটনৈতিকবৃন্দ, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, ভাষা সৈনিক, স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার ও বিরোধীদলীয় নেত্রীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিকদল শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। তাদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর শহীদ মিনার সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।
দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে সকল সরকারি-বেসরকারি টেলিভিশন, রেডিও এবং কমিউনিটি রেডিও ব্যাপক অনুষ্ঠানমালা প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। জাতীয় দৈনিকসমূহে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ঢাকা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দ্বীপসমূহ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে বর্ণমালা সম্বলিত ফেস্টুন দ্বারা সজ্জিত করা হবে।
আজিমপুর কবরস্থান থেকে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার পর্যন্ত রাস্তায় অতিরিক্ত জনসমাগম ও ভিড় নিয়ন্ত্রণে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা প্রয়োজনীয় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও র্যাবসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা প্রদান করবে। ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি শহিদ মিনার, আজিমপুর কবরস্থান ও সংলগ্ন এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করবে।
বাংলা একাডেমিতে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে মাসব্যাপী বইমেলা চলছে। শিল্পকলা একাডেমি, শিশু একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, নজরুল ইনস্টিটিউট, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট শহীদ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, সেমিনার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আবৃত্তি, নান্দনিক হস্তাক্ষর লেখা প্রতিযোগিতা, রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম চত্বরে গ্রš’মেলার আয়োজন করা হবে।
ঢাকা ওয়াসা শহীদ মিনার সংলগ্ন এলাকায় ১০টি পয়েন্টে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে শহীদ মিনার এলাকায় ১০টি ভ্রাম্যমান টয়লেট স্থাপন করা হবে। জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজনে শহীদ মিনার এলাকায় এবং বাংলা একাডেমি বইমেলা চলাকালীন সময়ে ৩টি সার্বক্ষণিক চিকিৎসা ক্যাম্প স্থাপন করা হবে।
জাতীয় কর্মসূচির সাথে সামঞ্জস্য রেখে মাদ্রাসাসহ দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষে স্ব স্ব কর্মসূচি গ্রহণ করবে। দেশের সকল মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে ভাষা শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ওপ্রার্থনার আয়োজন করা হবে। সকল জেলা ও উপজেলা সদরে দিবসটি পালনের লক্ষ্যে জাতীয় কর্মসূচির সাথে সংগতি রেখে স্ব স্ব কর্মসূচি পালন করবে। বিদেশে অবস্থিত মিশনসমূহে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস যথাযথভাবে উদ্যাপিত হবে।
প্রথম প্রহরে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর থেকেই প্রতিবছর ঢুকতে হয়। এজন্য ঢাবি থেকে দেয়া একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে আলাদা নিরাপত্তা কার্ড দেখাতে হয়। এ বছরও এই পথ দিয়েই প্রথম প্রহরে শ্রদ্ধা নিবেদনকারীরা প্রবেশ করবেন। তবে প্রতিবছর ফুল, ব্যানার, ফেস্টুন বা পুস্পস্তবক নিয়ে ঢুকতে দেওয়া হলেও এবার এসবের কোনো কিছু নিয়েই ঢুকতে দেওয়া হবে না। নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রবেশপথসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথে চেকপোষ্ট ও পুলিশ, র্যাব, বিজিবিসহ নিরাপত্তা কর্মীরা নিয়োজিত থাকবেন।
আজ রাত ৯টার পর থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকার সংযুক্ত এবং একুশে ফেব্রুয়ারির জন্য স্পেশাল নিরাপত্তা পাশ ছাড়া কোনো গাড়ি বিশ্ববিদ্যালয়ের আভ্যন্তরে বা শহীদ মিনারের আশপাশে ঢুকতে দেওয়া হবে না। একুশে ফেব্রুয়ারি সারাদিন এই নিয়ম চালু থাকবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাবি ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক
বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ১৯৫২ সালের এই দিনে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিল বাংলার বীর সন্তানেরা। শহীদ হয়েছিলেন রফিক, জব্বার, বরকত, সালামসহ নাম না জানা বাংলা মায়ের অনেক সন্তান। প্রতিবছরের মতো এ বছরও এই দিনটি উদযাপনের জন্য যথাযথ কর্মসূিচ হাতে নিয়েছে সরকার। ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে অসংখ্য মানুষ জড়ো হবে। রাত ১২টায় হবে অমর একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহর।
প্রতিবছরের এই একটি দিনের যাবতীয় নিরাপত্তা ও পরিচালনার দায়িত্ব পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের হাতে। তবে এ বছর একটু ভিন্নরকম নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
দিবসটি যথাযথভাবে উদ্যাপনের লক্ষে সরকারসহ বিভিন্ন সংগঠন দিনব্যাপি নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ দিন দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। এ দিন সরকারি ছুটির দিন।
মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতিতে ঋদ্ধ হয়ে অন্যের ভাষা ও সংস্কৃতিকে শ্রদ্ধা জানানোর মধ্যে নিহিত আছে ভাষা আন্দোলনের মূল চেতনা। একুশে ফেব্রুয়ারি এখন আর এককভাবে এদেশের অধিবাসীদের সম্পদ নয়, এটি এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে বিশ্বের সকল ভাষাভাষীর প্রেরণার উৎস। তিনি আশা প্রকাশ করেন, মহান ভাষা দিবসে আজ পৃথিবীর সব ভাষাভাষী মানুষের সাথে যোগসূত্র স্থাপিত হোক পৃথিবীতে লুপ্ত প্রায় ভাষাগুলো আপন মহিমায় নিজ নিজ সম্প্রদায়ের মধ্যে উজ্জীবিত হোক। রাষ্ট্রপতি মহান ‘শহিদ দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা’ দিবস উপলক্ষে পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের অম্লান স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সকল প্রকার ভেদাভেদ ভুলে একুশের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, অমর একুশে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতীক। সরকার একুশের চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে ধারণ করে ক্ষুধা, দারিদ্র্য, সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িকতামুক্ত আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে যে যাত্রা শুরু করেছিল গত পাঁচ বছরে প্রতিটি ক্ষেত্রেই কাক্সিক্ষত অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে তিনি বাংলা ভাষাভাষীসহ বিশ্বের সকল ভাষা ও সংস্কৃতির জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, মহান একুশে ফেব্রুয়ারি প্রতিটি বাঙালির শোক, শক্তি ও গৌরবের প্রতীক।
ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন। এছাড়া কূটনৈতিকবৃন্দ, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, ভাষা সৈনিক, স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার ও বিরোধীদলীয় নেত্রীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিকদল শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। তাদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর শহীদ মিনার সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।
দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে সকল সরকারি-বেসরকারি টেলিভিশন, রেডিও এবং কমিউনিটি রেডিও ব্যাপক অনুষ্ঠানমালা প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। জাতীয় দৈনিকসমূহে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ঢাকা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দ্বীপসমূহ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে বর্ণমালা সম্বলিত ফেস্টুন দ্বারা সজ্জিত করা হবে।
আজিমপুর কবরস্থান থেকে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার পর্যন্ত রাস্তায় অতিরিক্ত জনসমাগম ও ভিড় নিয়ন্ত্রণে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা প্রয়োজনীয় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও র্যাবসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা প্রদান করবে। ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি শহিদ মিনার, আজিমপুর কবরস্থান ও সংলগ্ন এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করবে।
বাংলা একাডেমিতে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে মাসব্যাপী বইমেলা চলছে। শিল্পকলা একাডেমি, শিশু একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, নজরুল ইনস্টিটিউট, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট শহীদ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, সেমিনার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আবৃত্তি, নান্দনিক হস্তাক্ষর লেখা প্রতিযোগিতা, রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম চত্বরে গ্রš’মেলার আয়োজন করা হবে।
ঢাকা ওয়াসা শহীদ মিনার সংলগ্ন এলাকায় ১০টি পয়েন্টে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে শহীদ মিনার এলাকায় ১০টি ভ্রাম্যমান টয়লেট স্থাপন করা হবে। জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজনে শহীদ মিনার এলাকায় এবং বাংলা একাডেমি বইমেলা চলাকালীন সময়ে ৩টি সার্বক্ষণিক চিকিৎসা ক্যাম্প স্থাপন করা হবে।
জাতীয় কর্মসূচির সাথে সামঞ্জস্য রেখে মাদ্রাসাসহ দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষে স্ব স্ব কর্মসূচি গ্রহণ করবে। দেশের সকল মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে ভাষা শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ওপ্রার্থনার আয়োজন করা হবে। সকল জেলা ও উপজেলা সদরে দিবসটি পালনের লক্ষ্যে জাতীয় কর্মসূচির সাথে সংগতি রেখে স্ব স্ব কর্মসূচি পালন করবে। বিদেশে অবস্থিত মিশনসমূহে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস যথাযথভাবে উদ্যাপিত হবে।
প্রথম প্রহরে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর থেকেই প্রতিবছর ঢুকতে হয়। এজন্য ঢাবি থেকে দেয়া একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে আলাদা নিরাপত্তা কার্ড দেখাতে হয়। এ বছরও এই পথ দিয়েই প্রথম প্রহরে শ্রদ্ধা নিবেদনকারীরা প্রবেশ করবেন। তবে প্রতিবছর ফুল, ব্যানার, ফেস্টুন বা পুস্পস্তবক নিয়ে ঢুকতে দেওয়া হলেও এবার এসবের কোনো কিছু নিয়েই ঢুকতে দেওয়া হবে না। নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রবেশপথসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথে চেকপোষ্ট ও পুলিশ, র্যাব, বিজিবিসহ নিরাপত্তা কর্মীরা নিয়োজিত থাকবেন।
আজ রাত ৯টার পর থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকার সংযুক্ত এবং একুশে ফেব্রুয়ারির জন্য স্পেশাল নিরাপত্তা পাশ ছাড়া কোনো গাড়ি বিশ্ববিদ্যালয়ের আভ্যন্তরে বা শহীদ মিনারের আশপাশে ঢুকতে দেওয়া হবে না। একুশে ফেব্রুয়ারি সারাদিন এই নিয়ম চালু থাকবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাবি ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক
আগামীকাল ২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত জাতি। আর কয়েক বাদে শুক্রবার রাত ১২টা ১ মিনিটে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে জাতি। ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন। এছাড়া তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে দলে দলে মানুষ জড়ো হবে প্রেরণার উৎস শহীদ মিনারে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বানী দিয়েছেন।
বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ১৯৫২ সালের এই দিনে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিল বাংলার বীর সন্তানেরা। শহীদ হয়েছিলেন রফিক, জব্বার, বরকত, সালামসহ নাম না জানা বাংলা মায়ের অনেক সন্তান। প্রতিবছরের মতো এ বছরও এই দিনটি উদযাপনের জন্য যথাযথ কর্মসূিচ হাতে নিয়েছে সরকার। ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে অসংখ্য মানুষ জড়ো হবে। রাত ১২টায় হবে অমর একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহর।
প্রতিবছরের এই একটি দিনের যাবতীয় নিরাপত্তা ও পরিচালনার দায়িত্ব পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের হাতে। তবে এ বছর একটু ভিন্নরকম নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
দিবসটি যথাযথভাবে উদ্যাপনের লক্ষে সরকারসহ বিভিন্ন সংগঠন দিনব্যাপি নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ দিন দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। এ দিন সরকারি ছুটির দিন।
মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতিতে ঋদ্ধ হয়ে অন্যের ভাষা ও সংস্কৃতিকে শ্রদ্ধা জানানোর মধ্যে নিহিত আছে ভাষা আন্দোলনের মূল চেতনা। একুশে ফেব্রুয়ারি এখন আর এককভাবে এদেশের অধিবাসীদের সম্পদ নয়, এটি এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে বিশ্বের সকল ভাষাভাষীর প্রেরণার উৎস। তিনি আশা প্রকাশ করেন, মহান ভাষা দিবসে আজ পৃথিবীর সব ভাষাভাষী মানুষের সাথে যোগসূত্র স্থাপিত হোক পৃথিবীতে লুপ্ত প্রায় ভাষাগুলো আপন মহিমায় নিজ নিজ সম্প্রদায়ের মধ্যে উজ্জীবিত হোক। রাষ্ট্রপতি মহান ‘শহিদ দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা’ দিবস উপলক্ষে পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের অম্লান স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সকল প্রকার ভেদাভেদ ভুলে একুশের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, অমর একুশে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতীক। সরকার একুশের চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে ধারণ করে ক্ষুধা, দারিদ্র্য, সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িকতামুক্ত আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে যে যাত্রা শুরু করেছিল গত পাঁচ বছরে প্রতিটি ক্ষেত্রেই কাক্সিক্ষত অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে তিনি বাংলা ভাষাভাষীসহ বিশ্বের সকল ভাষা ও সংস্কৃতির জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, মহান একুশে ফেব্রুয়ারি প্রতিটি বাঙালির শোক, শক্তি ও গৌরবের প্রতীক।
ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন। এছাড়া কূটনৈতিকবৃন্দ, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, ভাষা সৈনিক, স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার ও বিরোধীদলীয় নেত্রীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিকদল শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। তাদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর শহীদ মিনার সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।
দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে সকল সরকারি-বেসরকারি টেলিভিশন, রেডিও এবং কমিউনিটি রেডিও ব্যাপক অনুষ্ঠানমালা প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। জাতীয় দৈনিকসমূহে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ঢাকা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দ্বীপসমূহ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে বর্ণমালা সম্বলিত ফেস্টুন দ্বারা সজ্জিত করা হবে।
আজিমপুর কবরস্থান থেকে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার পর্যন্ত রাস্তায় অতিরিক্ত জনসমাগম ও ভিড় নিয়ন্ত্রণে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা প্রয়োজনীয় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও র্যাবসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা প্রদান করবে। ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি শহিদ মিনার, আজিমপুর কবরস্থান ও সংলগ্ন এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করবে।
বাংলা একাডেমিতে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে মাসব্যাপী বইমেলা চলছে। শিল্পকলা একাডেমি, শিশু একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, নজরুল ইনস্টিটিউট, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট শহীদ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, সেমিনার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আবৃত্তি, নান্দনিক হস্তাক্ষর লেখা প্রতিযোগিতা, রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম চত্বরে গ্রš’মেলার আয়োজন করা হবে।
ঢাকা ওয়াসা শহীদ মিনার সংলগ্ন এলাকায় ১০টি পয়েন্টে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে শহীদ মিনার এলাকায় ১০টি ভ্রাম্যমান টয়লেট স্থাপন করা হবে। জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজনে শহীদ মিনার এলাকায় এবং বাংলা একাডেমি বইমেলা চলাকালীন সময়ে ৩টি সার্বক্ষণিক চিকিৎসা ক্যাম্প স্থাপন করা হবে।
জাতীয় কর্মসূচির সাথে সামঞ্জস্য রেখে মাদ্রাসাসহ দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষে স্ব স্ব কর্মসূচি গ্রহণ করবে। দেশের সকল মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে ভাষা শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ওপ্রার্থনার আয়োজন করা হবে। সকল জেলা ও উপজেলা সদরে দিবসটি পালনের লক্ষ্যে জাতীয় কর্মসূচির সাথে সংগতি রেখে স্ব স্ব কর্মসূচি পালন করবে। বিদেশে অবস্থিত মিশনসমূহে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস যথাযথভাবে উদ্যাপিত হবে।
প্রথম প্রহরে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর থেকেই প্রতিবছর ঢুকতে হয়। এজন্য ঢাবি থেকে দেয়া একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে আলাদা নিরাপত্তা কার্ড দেখাতে হয়। এ বছরও এই পথ দিয়েই প্রথম প্রহরে শ্রদ্ধা নিবেদনকারীরা প্রবেশ করবেন। তবে প্রতিবছর ফুল, ব্যানার, ফেস্টুন বা পুস্পস্তবক নিয়ে ঢুকতে দেওয়া হলেও এবার এসবের কোনো কিছু নিয়েই ঢুকতে দেওয়া হবে না। নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রবেশপথসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথে চেকপোষ্ট ও পুলিশ, র্যাব, বিজিবিসহ নিরাপত্তা কর্মীরা নিয়োজিত থাকবেন।
আজ রাত ৯টার পর থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকার সংযুক্ত এবং একুশে ফেব্রুয়ারির জন্য স্পেশাল নিরাপত্তা পাশ ছাড়া কোনো গাড়ি বিশ্ববিদ্যালয়ের আভ্যন্তরে বা শহীদ মিনারের আশপাশে ঢুকতে দেওয়া হবে না। একুশে ফেব্রুয়ারি সারাদিন এই নিয়ম চালু থাকবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাবি ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক দৈনিক বার্তাকে বলেন, প্রতিবছরের মতো এবছরও আমরা কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি। যারা প্রথম প্রহরে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রদত্ত আলাদা প্রবেশপাশ দেখাতে হবে। –
বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ১৯৫২ সালের এই দিনে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিল বাংলার বীর সন্তানেরা। শহীদ হয়েছিলেন রফিক, জব্বার, বরকত, সালামসহ নাম না জানা বাংলা মায়ের অনেক সন্তান। প্রতিবছরের মতো এ বছরও এই দিনটি উদযাপনের জন্য যথাযথ কর্মসূিচ হাতে নিয়েছে সরকার। ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে অসংখ্য মানুষ জড়ো হবে। রাত ১২টায় হবে অমর একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহর।
প্রতিবছরের এই একটি দিনের যাবতীয় নিরাপত্তা ও পরিচালনার দায়িত্ব পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের হাতে। তবে এ বছর একটু ভিন্নরকম নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
দিবসটি যথাযথভাবে উদ্যাপনের লক্ষে সরকারসহ বিভিন্ন সংগঠন দিনব্যাপি নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ দিন দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। এ দিন সরকারি ছুটির দিন।
মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতিতে ঋদ্ধ হয়ে অন্যের ভাষা ও সংস্কৃতিকে শ্রদ্ধা জানানোর মধ্যে নিহিত আছে ভাষা আন্দোলনের মূল চেতনা। একুশে ফেব্রুয়ারি এখন আর এককভাবে এদেশের অধিবাসীদের সম্পদ নয়, এটি এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে বিশ্বের সকল ভাষাভাষীর প্রেরণার উৎস। তিনি আশা প্রকাশ করেন, মহান ভাষা দিবসে আজ পৃথিবীর সব ভাষাভাষী মানুষের সাথে যোগসূত্র স্থাপিত হোক পৃথিবীতে লুপ্ত প্রায় ভাষাগুলো আপন মহিমায় নিজ নিজ সম্প্রদায়ের মধ্যে উজ্জীবিত হোক। রাষ্ট্রপতি মহান ‘শহিদ দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা’ দিবস উপলক্ষে পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের অম্লান স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সকল প্রকার ভেদাভেদ ভুলে একুশের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, অমর একুশে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতীক। সরকার একুশের চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে ধারণ করে ক্ষুধা, দারিদ্র্য, সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িকতামুক্ত আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে যে যাত্রা শুরু করেছিল গত পাঁচ বছরে প্রতিটি ক্ষেত্রেই কাক্সিক্ষত অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে তিনি বাংলা ভাষাভাষীসহ বিশ্বের সকল ভাষা ও সংস্কৃতির জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, মহান একুশে ফেব্রুয়ারি প্রতিটি বাঙালির শোক, শক্তি ও গৌরবের প্রতীক।
ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন। এছাড়া কূটনৈতিকবৃন্দ, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, ভাষা সৈনিক, স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার ও বিরোধীদলীয় নেত্রীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিকদল শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। তাদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর শহীদ মিনার সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।
দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে সকল সরকারি-বেসরকারি টেলিভিশন, রেডিও এবং কমিউনিটি রেডিও ব্যাপক অনুষ্ঠানমালা প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। জাতীয় দৈনিকসমূহে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ঢাকা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দ্বীপসমূহ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে বর্ণমালা সম্বলিত ফেস্টুন দ্বারা সজ্জিত করা হবে।
আজিমপুর কবরস্থান থেকে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার পর্যন্ত রাস্তায় অতিরিক্ত জনসমাগম ও ভিড় নিয়ন্ত্রণে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা প্রয়োজনীয় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও র্যাবসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা প্রদান করবে। ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি শহিদ মিনার, আজিমপুর কবরস্থান ও সংলগ্ন এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করবে।
বাংলা একাডেমিতে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে মাসব্যাপী বইমেলা চলছে। শিল্পকলা একাডেমি, শিশু একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, নজরুল ইনস্টিটিউট, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট শহীদ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, সেমিনার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আবৃত্তি, নান্দনিক হস্তাক্ষর লেখা প্রতিযোগিতা, রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম চত্বরে গ্রš’মেলার আয়োজন করা হবে।
ঢাকা ওয়াসা শহীদ মিনার সংলগ্ন এলাকায় ১০টি পয়েন্টে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে শহীদ মিনার এলাকায় ১০টি ভ্রাম্যমান টয়লেট স্থাপন করা হবে। জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজনে শহীদ মিনার এলাকায় এবং বাংলা একাডেমি বইমেলা চলাকালীন সময়ে ৩টি সার্বক্ষণিক চিকিৎসা ক্যাম্প স্থাপন করা হবে।
জাতীয় কর্মসূচির সাথে সামঞ্জস্য রেখে মাদ্রাসাসহ দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষে স্ব স্ব কর্মসূচি গ্রহণ করবে। দেশের সকল মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে ভাষা শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ওপ্রার্থনার আয়োজন করা হবে। সকল জেলা ও উপজেলা সদরে দিবসটি পালনের লক্ষ্যে জাতীয় কর্মসূচির সাথে সংগতি রেখে স্ব স্ব কর্মসূচি পালন করবে। বিদেশে অবস্থিত মিশনসমূহে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস যথাযথভাবে উদ্যাপিত হবে।
প্রথম প্রহরে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর থেকেই প্রতিবছর ঢুকতে হয়। এজন্য ঢাবি থেকে দেয়া একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে আলাদা নিরাপত্তা কার্ড দেখাতে হয়। এ বছরও এই পথ দিয়েই প্রথম প্রহরে শ্রদ্ধা নিবেদনকারীরা প্রবেশ করবেন। তবে প্রতিবছর ফুল, ব্যানার, ফেস্টুন বা পুস্পস্তবক নিয়ে ঢুকতে দেওয়া হলেও এবার এসবের কোনো কিছু নিয়েই ঢুকতে দেওয়া হবে না। নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রবেশপথসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথে চেকপোষ্ট ও পুলিশ, র্যাব, বিজিবিসহ নিরাপত্তা কর্মীরা নিয়োজিত থাকবেন।
আজ রাত ৯টার পর থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকার সংযুক্ত এবং একুশে ফেব্রুয়ারির জন্য স্পেশাল নিরাপত্তা পাশ ছাড়া কোনো গাড়ি বিশ্ববিদ্যালয়ের আভ্যন্তরে বা শহীদ মিনারের আশপাশে ঢুকতে দেওয়া হবে না। একুশে ফেব্রুয়ারি সারাদিন এই নিয়ম চালু থাকবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাবি ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক দৈনিক বার্তাকে বলেন, প্রতিবছরের মতো এবছরও আমরা কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি। যারা প্রথম প্রহরে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রদত্ত আলাদা প্রবেশপাশ দেখাতে হবে। –