
ঝিনাইদহের উপজেলা নির্বাচন বাতিল ও জেলা প্রশাসক শফিকুল ইসলামের অপসারণের দাবীতে বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়। দুপুর ১টার দিকে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান। আওয়ামী লীগের সাংবাদিক সম্মেলনে ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক শফিকুল ইসলামকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরিপন্থী ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দাবী করে তাকে অপসারণের দাবি জানানো হয়। লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয় ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক শফিকুল ইসলামের নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আবদুল আলীমের পক্ষে কাজ করেন। আওয়ামী লীগ সমর্থিত পরাজিত প্রার্থী কনক কান্তি দাস সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করেন, বুধবার সকালে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর আওয়ামী লীগ সমর্থকদের ওপর মারমুখী আচরণ শুরু করে প্রশাসন। এ কারণে ভয়ে সংখ্যালঘুসহ সাধারণ ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেননি। তিনি বুধবার অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনকে ষড়যন্ত্রমূলক আখ্যা দিয়ে নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান ও পুনর্র্নিবাচনের দাবি করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল হাই, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল ইসলাম ফোটন, আবদুল খালেক, জীবন কুমার বিশ্বাস, আসাদুজ্জামান, সালমা ইসলাম সহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। আওয়ামীলীগের সাংবাদিক সম্মেলন সম্পর্কে ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক শফিকুল ইসলাম তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব আমি সুষ্ঠু ও সঠিক ভাবে পালন করেছি। আমি কোন পক্ষপাতিত্ব করিনি।