চতুর্থ দফা নির্বাচনের প্রথম দফায় গতকাল ৯৭টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বেসরকারি ফলাফলে বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জয়ী হয়েছেন ৪২টিতে। আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন ৩৪টি উপজেলায়। জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী জয়ী হয়েছেন ১২টিতে। জাতীয় পার্টি ১টি উপজেলাতে জয়ী হয়েছে। এছাড়া অন্যান্যরা ৭টি উপজেলায় চেয়ারম্যান হিসাবে জয়ী হয়েছেন। উল্লাপাড়া উপজেলার দু’টি কেন্দ্রের ফল স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে এখানে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এগিয়ে রয়েছেন। বেসরকারিভাবে নির্বাচিতরা হলেন- হবিগঞ্জের মাধবপুরে বিএনপি সমর্থিত সৈয়দ মোহাম্মদ শাহজাহান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন অসীম। কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে আওয়ামী লীগের সারোয়ার আলম ৫১,৪৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির কাইয়ুম খান হেলাল পেয়েছেন ৪২,৩৯১ ভোট। নিকলিতে আওয়ামী লীগের কারার সাইফুল ইসলাম ১৯,৯১৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপির এডভোকেট বদরুল মোমেন মিঠু পেয়েছেন ১৪,৭৪৭ ভোট। করিমগঞ্জে বিএনপির সাইফুল ইসলাম সুমন ৩৪,৬৯০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নাছিরুল ইসলাম খান পেয়েছেন ৩০,৫৬০ ভোট। পাবনার আটঘরিয়ায় জামায়াত সমর্থিত মাওলানা জহুরুল ইসলাম জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৪০,৯৯৪ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের শহিদুল ইসলাম রতন পেয়েছেন ৩৬,৫৩৮ ভোট। মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে বিএনপির তোজাম্মেল হক তোতা ৪৫,১৪৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নুরুল ইসলাম রাজা পেয়েছেন ২৯,৮৭৪ ভোট। শিবালয় উপজেলায় বিএনপির আলী আকবর ৪১,৫৪৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আবদুর রহিম খান পেয়েছেন ৩৩, ৫৬৫ ভোট। রংপুরের তারাগঞ্জে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আনিসুর রহমান লিটন। তিনি পেয়েছেন ২৪,৪৯৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের সামছুল কাদের সরকার পেয়েছেন ১৫,৭৫৯ ভোট। খুলনার কয়রা উপজেলায় জামায়াতের মাওলানা তমিজউদ্দিন ৫৩,৭৮২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের জিএম মহসিন রেজা পেয়েছেন ৩৪,১২৭ ভোট। দিঘলিয়া উপজেলায় আওয়ামী লীগের খান নজরুল ইসলাম ৩০,৮১৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির সাইফুর রহমান মিন্টু পেয়েছেন ২৮,৮৬১ ভোট। ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে জামায়াতের মাওলানা তাজুল ইসলাম ২৬,৪৯৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির সিরাজুল ইসলাম পেয়েছেন ২১,২৬৪ ভোট। কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় বিএনপির প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার ১০৬২৯৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের ডা. এএফএম আমিনুল হক রতন পেয়েছেন ৬৩,৩০০ ভোট। নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় আওয়ামী লীগের সৈয়দ জাবেদ হোসেন ৩২,৭৪১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আবু বক্কর পেয়েছেন ৩১,৬৮৬ ভোট। যশোরের অভয়নগরে বিএনপি সমর্থিত নূরুল হক মোল্লা ৬৯,২৮৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রবিন অধিকারী পেয়েছেন ৪১,৮০৯ ভোট। কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় বিএনপির এডভোকেট অহিদুল ইসলাম আলম ৩৮,২৯৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আবু বকর সিদ্দিক ২৫,৪২৬ ভোট পেয়েছেন। চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বিএনপির নুরুল আমিন ৫৬১৭৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আলহাজ গিয়াস উদ্দিন পেয়েছেন ৪২,৯৫৩ ভোট। হবিগঞ্জের বাহুবলে আওয়ামী লীগের আবদুল হাই ২৮,৭১৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আকাদ্দস মিয়া বাবুল পেয়েছেন ১৭,৮৬২ ভোট। দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের হাজী আবুল কালাম ২৮,৫৫৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ফারুক আহমেদ পেয়েছেন ২২০৯৬ ভোট। কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় বিএনপির মো. নজির হোসেন ৩২,১৩৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের এজাহার আলী পেয়েছেন ১৮০০৭ ভোট। ঝিনাইদহের শৈলকূপায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত সোনা শিকদার ১,২৯,৩৬৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির রকিবুল ইসলাম দিপু পেয়েছেন ২৩,১৯১ ভোট। মাগুরার শ্রীপুরে বিএনপি সমর্থিত বদরুল আলম হিরো ৩৭,৩৭৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের হুমায়ুন উর মুহিত পেয়েছেন ৩৩,০১১ ভোট। ঝিনাইদহ সদরে বিএনপির এডভোকেট আবদুল আলীম ১,০৫,০৭৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের কনক কান্তি দাস পেয়েছেন ৬৬,৩২৭ ভোট। দিনাজপুরের কাহারোলে বিএনপি সমর্থিত মামুনুর রশীদ ৩০,৩৬৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী গোপেশ চন্দ্র রায় পেয়েছেন ২৪,৪৭১ ভোট। খানসামা উপজেলায় বিএনপির শহীদুজ্জামান শাহ ৩৭,২৪১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ওয়ার্কাস পার্টির মাহফুজার রহমান পেয়েছেন ২৬,৭২৯ ভোট। শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত মোবারক আলী শিকদার ৪২,৭২০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নুরুল ইসলাম আল আজাদ পেয়েছেন ১২৩৯ ভোট। ডামুড্যা উপজেলায় আওয়ামী লীগের আলমগীর হোসেন মাঝি ২১,১১৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ফজলুল করিম পেয়েছেন ১৩০৬৮ ভোট। ভেদরগঞ্জ উপজেলায় বিএনপির আনোয়ার হোসেন ৪২,৪১৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আলতাফ হোসেন পেয়েছেন ৩৫,৩৩৪ ভোট। গোসাইরহাট উপজেলায় আওয়ামী লীগের সৈয়দ নাসির উদ্দিন ৪৪,৬২২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির সাহেদ পারভেজ আব্বাস পেয়েছেন ১২,৩৩০ ভোট। নরসিংদীর বেলাব উপজেলায় বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী মো. আহসান হাবিব বিপ্লব ৩৮,০৮৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের সমসের জামান পেয়েছেন ২৬,৭২২ ভোট। রাজশাহীর মোহনপুরে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী অধ্যক্ষ আবদুস সামাদ ৪৭,৩৪৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আবদুস সালাম পেয়েছে ৪২,৮১২ ভোট। কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় আওয়ামী লীগের মো. নুরুন্নবী চৌধুরী ৪৯,৪৫০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতের আজিজুর রহমান স্বপন পেয়েছেন ২২,৯৬৬ ভোট। পাবনার সুজানগরে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আবুল কাশেম বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৮০,৫৮৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির জাকির হোসেন চুন্নু পেয়েছেন ১৫,১০৫ ভোট। কুড়িগ্রামের উলিপুরে বিএনপির হায়দার আলী বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আবদুল মজিদ। বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় জামায়াতের আবদুল গণি মণ্ডল ৫৮,৬০৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী কল্যাণ প্রসাদ পোদ্দার পেয়েছেন ২৬,৩৪৮ ভোট। নন্দীগ্রামে জামায়াতের নূরুল ইসলাম মন্ডল ৪৫,৭৪০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শামীম চৌধুরী পেয়েছেন ২১,৭৫০ ভোট। শেরপুরে জামায়াতের দবিবুর রহমান ৮৬,১৬৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মজিবুর রহমান মজনু পেয়েছেন ৪৫,৯৫১ ভোট। সারিয়াকান্দিতে বিএনপির মাসুদার রহমান হিরু মণ্ডল ৫২,৩২৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আলমগীর শাহ সুমন পেয়েছেন ২৫,৪২৫ ভোট। ধুনটে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী তৌহিদুল আলম মামুন ৫৭,২৪৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শাহজাহান আলী পেয়েছেন ৩৫,৮০২ ভোট। সোনাতলায় বিএনপির আহসানুল হক জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৪৯,৯৩০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের জিয়াউল করিম শ্যাম্পু পেয়েছেন ২৮,১৮৩ ভোট। মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় বিএনপির বশির উদ্দিন ৩৩,৫৯৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের এডভোকেট মজিদ ফটো পেয়েছেন ৩১,২৬৭ ভোট। নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় বিএনপি সমর্থিত দেলোয়ার হোসেন ভুঁইয়া দুলাল ৬১,৬৩৩ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আসাদুল হক পেয়েছেন ৫৯,৬৯৩ ভোট। সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে আওয়ামী লীগ সমর্থিত অধ্যক্ষ ইদ্রিস আলী বীরপ্রতীক বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতের ডা. আবদুল কুদ্দুস। রংপুরের মিঠাপুকুরে জামায়াতের গোলাম রব্বানী বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের জাকির হোসেন সরকার। পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে আওয়ামী লীগের হাসনাত জামান চৌধুরী জর্জ ৩৭,৯৩৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আবদুল গণি বসুনিয়া পেয়েছেন ২৩,১৯০ ভোট। বোদা উপজেলায় জামায়াতের শফিউল্লাহ শফি ৫০,৮০৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের ফারুক আলম পেয়েছেন ৩৮,৫৪৬ ভোট। আটোয়ারি উপজেলায় বিএনপির আবদুর রহমান আবদার ৩০,৮৩৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের তৌহিদুল ইসলাম পেয়েছেন ২০,৮৫১ ভোট। পঞ্চগড় সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগের আনোয়ার সাদাত সম্রাট ৩৭,৩৬৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপির আবু দাউদ প্রধান পেয়েছেন ৩৩,৬০৭ ভোট। সাতক্ষীরা আশাশুনিতে আওয়ামী লীগের এবিএম মোস্তাকিম ৫১,২৬৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতের গোলাম মর্তুজা পেয়েছেন ৫০,১৬৪ ভোট। ঢাকার দোহারে বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল হুদা ৩৮,৭৫৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মেহেবুব কবির পেয়েছেন ২৬,৫৮৫ ভোট। মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে বিএনপির আবিদুর রহমান রুমা ৬১,৯৪৭ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মুশফিকুর রহমান হান্নান পেয়েছেন ৫০,৯৪৯ ভোট। মাগুরা সদর উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত নাজিম উদ্দিন আহমেদ ৭২,৩৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের পঙ্কজ কুমার পেয়েছেন ৫৩,৩৪৬ ভোট। পাবনার সাাঁথিয়ায় জামায়াতের মোখলেছুর রহমান ৫৪,৫৯৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মঞ্জুর এলাহি পেয়েছেন ৩৫,২২৫ ভোট। নীলফামারীর জলঢাকায় জামায়াতের সৈয়দ আলী ৬৬,৬৬২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের শহীদ হোসেন পেয়েছেন ৪৬,৭০৬ ভোট। সৈয়দপুরে আওয়ামী লীগের জাওয়াদুল হক সরকার ৫২,৪৩৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আবদুল গফুর পেয়েছেন ৪৬,৩২১ ভোট। ডিমলায় আওয়ামী লীগের তবিবুল ইসলাম ৩৮,৪৪৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতের মাওলানা আবদুস সাত্তার পেয়েছেন ৩৬,৩৭৭ ভোট। রাঙ্গামাটির মাটিরাঙা উপজেলায় বিএনপির তাজুল ইসলাম ১৬,৯৪৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের শামসুল হক পেয়েছেন ১৫,১৬৭ ভোট। সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে বিএনপির আইনুল হক ৭২,০৫০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আলহাদি আলমাজি পেয়েছেন ৪৯,৬৬৯ ভোট। সিলেটের গোলাপগঞ্জে জামায়াতের হাফিজ নজমুল ইসলাম, বিশ্বনাথে বিএনপির সুহেল আহমদ চৌধুরী, গোয়াইনঘাটে বিএনপির আবদুল হাকিম চৌধুরী, কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের বাছির মিয়া, জৈন্তাপুরে জামায়াতের জয়নাল আবেদীন, জকিগঞ্জে বিএনপির ইকবাল আহমদ জয়ী হয়েছেন। মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় আওয়ামী লীগের কামরুল হাসান বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। খাগড়াছড়ি সদরে ইউপিডিএফের চঞ্জুমনি চাকমা ১৩,৪২৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির কংচাইরি মগ পেয়েছেন ১৩,২৬২ ভোট। পানছড়িতে ইউপিডিএফের সর্বোত্তম চাকমা ১০,৭৯৮ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির অনিমেষ চাকমা পেয়েছেন ৮৩৯১ ভোট। রামগড়ে বিএনপির শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া ফরহাদ ১০,৪৫৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের চাইথোয়াই পেয়েছেন ৫১৬২ ভোট। মানিকছড়িতে আওয়ামী লীগের ম্রাগ্য মারমা ১১,৫১২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী এসএম রবিউল ফারুক পেয়েছেন ৮৩৭৬ ভোট। মহালছড়িতে জনসংহতি সমিতির (এমএম লারমা) বিমল কান্তি চাকমা ৮৮৯৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নীলোৎপল খীসা পেয়েছেন ৪,৩৮৩ ভোট। নড়াইলের কালিয়ায় জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের খান শামিমুর রহমান ওছি, নওগাঁর মহাদেবপুরে বিএনপির আবদুস সাত্তার, রাণীনগরে বিএনপির আল ফারুক, নবাবগঞ্জে বিএনপির আবু আশফাক, রাজবাড়ীতে বিএনপির এমএ খালেক, জামালপুরে বিএনপির আমজাদ হোসেন বিজয়ী হয়েছেন। গৌরনদী উপজেলায় আওয়ামী লীগের ইঞ্জিনিয়ার শাহ আলম ৬৮,০১৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আবুল হোসেন পেয়েছেন ৩২১৬ ভোট। গোপালগঞ্জের মকসুদপুরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আশরাফুল আলম বিজয়ী হয়েছেন। গাইবান্ধার সাঘাটায় জাতীয় পার্টির গোলাম শহীদ রঞ্জু, গোবিন্দগঞ্জে বিএনপির ফারুক আহমেদ বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নেত্রকোনার দুর্গাপুরে আওয়ামী লীগের এমদাদ খান জয়ী হয়েছেন। কালকিনিতে আওয়ামী লীগের তৌফিকুজ্জামান, চট্টগ্রামের হাটহাজারিতে বিএনপির মাহবুবুল আলম, জামালপুরের সরিষাবাড়িতে বিএনপির ফরিদুল কবীর তালুকদার নির্বাচিত হয়েছেন। সুনামগঞ্জের ছাতকে আওয়ামী লীগের অলিউর রহমান মুকুল নির্বাচিত হয়েছেন। রাজবাড়ীর পাংশায় আওয়ামী লীগের ফরিদ হোসেন, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জানে আলম, চাঁপাই নবাবগঞ্জের নাচোলে আওয়ামী লীগের আবদুল কাদের, গাজীপুরের কাপাসিয়ায় বিএনপির আজিজুর রহমান নির্বাচিত হয়েছেন। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর সিদ্দিক জয়ী হয়েছে। রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে আওয়ামী লীগের আবুল কালাম নির্বাচিত হয়েছেন। ভোলার লালমোহনে আওয়ামী লীগের অধ্যক্ষ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বিজয়ী হয়েছেন। মেহেরপুর সদরে বিএনপির এডভোকেট মারুফ আহমেদ বিজন নির্বাচিত হয়েছেন। সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে আওয়ামী লীগের মোজাম্মেল হক বকুল বিজয়ী হয়েছেন। সদর উপজেলায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের রিয়াজউদ্দিন। উল্লাপাড়ায় ১২১ কেন্দ্রের মধ্যে ১১৯টির ফলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মারুফ বিন হাবিব ৮ হাজার ভোট বেশি পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। দু’টি কেন্দ্রের ফল স্থগিত রাখা হয়েছে।
গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রাথী জয়ী
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, গোপালগঞ্জ জেলার দুই উপজেলার দু’টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। কাশিয়ানী উপজেলায় আওয়ামী লীগ সর্মর্থিত প্রার্থী সুব্রত ঠাকুরকে হারিয়েছেন দলের বিদ্রোহী প্রার্থী জানে আলম বীরু। জানে আলম পেয়েছেন ৩১৯৮৩ ভোট। আর সুব্রত পেয়েছেন ২৮১৮৯ ভোট। মুকসেদপুর উপজেলায় বিদ্রোহী প্রার্থী আশরাফুল আলম শিমুল ৪২৮৬৪ ভোট পেয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত শ্যামল কান্তি বোসকে পরাজিত করেছেন।