বিএনপি চেয়ারপারসন ও ১৯ দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, দেশ স্বাধীন হলেও নতুন করে ভিন্ন মাত্রায় আধিপত্যবাদী শক্তি এ দেশের উপর সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক আধিপত্য কায়েম করে আমাদের নতজানু করে রাখতে চাচ্ছে। যাতে আমরা মাথা উচুঁ করে দাঁড়াতে না পারি। একুশের অম্লান চেতনা সব ষড়যন্ত্রকারী আধিপত্যবাদী শক্তিকে রুখতে আমাদের উদ্বুদ্ধ করবে। আজ বৃহস্পতিবার মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
একুশের পথ ধরেই স্বাধীনতা এসেছে উল্লেখ করে বেগম খালেদা জিয়া বলেন, একুশের পথ ধরেই এ দেশের সব গণতান্ত্রিক এবং স্বাধীকারের সংগ্রাম সম্প্রসারিত হয়েছে, অর্জিত হয়েছে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমাদের মহান স্বাধীনতা। সংখ্যাগরিষ্ঠের ভাষা বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষার সরকারি স্বীকৃতি না দিয়ে তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এ দেশের উপর নিজেদের সাংস্কৃতিক আধিপত্য বজায় রাখতে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল- এ দেশকে স্থায়ীভাবে পরাধীন রাখার জন্য। কিন্তু ছাত্র-জনতা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে তা প্রতিরোধ করে।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি আমাদের জাতীয় জীবনে এক তাৎপর্যময় দিন। মাতৃভাষা বাংলার অধিকার ও মর্যাদা রক্ষার জন্য সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা জীবন বাজি রেখে রাজপথে নেমে এসে পুলিশের গুলিতে আত্মদান করে। তাদের এই মহিমান্বিত আত্মত্যাগের বিনিময়ে রচিত হয়েছে আমাদের জাতীয় মুক্তি আন্দোলনের প্রথম সোপান।
ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, আমি বায়ান্নর ভাষা শহীদদের রুহের মাগফিতার কামনা করছি এবং তাঁদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের জানাচ্ছি সমবেদনা।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করায় এই দিবসটিতে বিশ্বের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী তাদের নিজস্ব মাতৃভাষার চর্চা ও বিকাশ ঘটাতে অদম্য প্রেরণা লাভ করবে। মহান ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের আয়োজিত নানাবিধ কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি।’