
সদর উপজেলার দোগান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফয়েজ আহমদকে আটক করেছে পুলিশ। সকালে তিনি কলমনখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ভোটারদের মারধরের পর কেন্দ্র থেকে বের করে দেন। এই অভিযোগে পুলিশ তাকে আটক করে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত সেখানে উপস্থিতি হয়ে নিবার্হী মেজিস্ট্রেট মামুন আল ফারুক তাকে ৩ মাসের কারাদণ্ড দেন এবং একই সঙ্গে ৫০,০০০ টাকা জরিমানাও করেন। চেয়ারম্যান ফয়েজ আহমদ সরকার দলীয় সমর্থক। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি সরকার দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে কাজ করছিলেন। এদিকে সংঘর্ষ ও ভোটকেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেয়ার অভিযোগের মধ্য দিয়ে চলছে ৪ উপজেলা পরিষদে ভোট গ্রহণ। সকাল ৯টা পর্যন্ত ভোট কেন্দ্রগুলোতে তেমন ভোটারের উপস্থিতি ছিল না। শুরুতেই সদর উপজেলার গান্না সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগ ও জামায়াত সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ৫ জন আহত হন। তাদেরকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে গান্না এলাকা আওয়ামী লীগ সমর্থকরা দখল করে রেখেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই সময় সকালে সদর উপজেলার কাঞ্চননগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভোট কেন্দ্রে সরকার দলীয় সমর্থকদের হামলায় তিনজন আহত হন। এসময় মিলন নামে বিএনপি সমর্থক চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল আলিমের এজেন্টকে বের করে দেয়। এদিকে কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার ইউনিয়নের মাজদিয়া, বারফা মঙ্গলপৈতা ও সুবর্ণা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্র থেকে বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী হামিদুল ইসলামের এজেন্টদের বের করে দিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।