02 (19-02-14) ভোট কেন্দ্র দখল, এজেন্টদের বের করে দেয়ার মতো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও উৎসবমূখর পরিবেশে ও আইনশৃংখলাবাহিনীর কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ৯৭ উপজেলা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। বুধবার চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম দফায় সকাল ৮টায় এ ৯৭ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে। চারটার পর শুরু হয়েছে ভোট গণনা।
চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এক হাজার ২৫৯ জন প্রার্থী।এর মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৪২৯জন, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৫০৫ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৩২৫জন।  এসব উপজেলায় ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন এক কোটি ৬২ লাখ ১৫ হাজার ৪৩৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮০ লাখ ৬১ হাজার ৩৮৪ জন ও মহিলা ভোটার ৮১ লাখ ৫৪ হাজার ৫৩ জন। ৯৭ উপজেলায় ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৬ হাজার ৮৮৯টি ও ভোটকক্ষ ৪২ হাজার ৭৫৬টি। প্রিসাইডিং অফিসার প্রতি ভোটকেন্দ্রে একজন করে ৬ হাজার ৮৮৯ জন। সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার প্রতি ভোটকক্ষের জন্য একজন করে মোট ৪২ হাজার ৭৫৬ জন।এরমধ্যে দেশের ১০টি উপজেলায় ১৭জন চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। ৫ উপজেলায় হরতাল বৃহস্পতিবার আহবান করা হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে বিএনপি ভোট কেন্দ্র দখল, এজেন্টদের বের করে দেয়াসহ জালভোট দেয়ার অভিযোগ এনেছে।এছাড়া সরিষাবাড়ী, মিঠাপুকুর ও কালকিনি উপজেলায় জাল ভোট দেয়ার অভিযোগে পুলিশ ৭জনকে গ্রেফতার করেছে।
প্রথম দফায় বুধবার সারাদেশে ৯৭ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হলেও ৬টি উপজেলায় বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র বিদ্রোহী প্রার্থীরা জাল ভোট, ব্যালটবাক্স ছিনতাই ও কেন্দ্র দখলের অভিযোগে নির্বাচন বর্জন করেছে। বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে গোলযোগ হওয়ায় ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছেন প্রিজাইডিং অফিসার।এরমধ্যে ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জে দুটি ভোটকেন্দ্র ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জের আকবর আলী ভোটকেন্দ্র বাতিল করা হয়েছে।সরকারি দল আওয়ামী লীগের দুজন বিদ্রোহী প্রার্থী ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেছেন। এরা হলেন, সিরাজগঞ্জের কাজিরপুর উপজেলার আবুল কালাম আজাদ ও চট্টগ্রামের মিরেশ্বরাই উপজেলার চেয়ারস্যান প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন।তারা দুজন মন্ত্রী সমর্থক উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীদের বিরুদ্ধে এজেন্টদের বের করে দিয়ে ব্যালটে সিল মেরে ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে সরে দাড়ানোর ঘোষণা দেন।
এসব নির্বাচনী এলাকায় সরকারি দলের ক্যাডারদের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের পক্ষে জালভোট দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। অনিয়মের অভিযোগ স্থানীয় প্রশাসনের কাছে করা হলেও পুলিশ ও স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নির্বাচন বয়কটকারী প্রার্থীরা। বিভিন্ন উপজেলায় ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও গত ৫ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে এবার বেশী ভোট পড়েছে বলে আমাদের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন।