দৈনিক বার্তা:কমলাপুর রেলস্টেশনের কাউন্টারের সুরক্ষিত কক্ষে বুকিং সহকারী ইস্রাফিল হোসেন মুন্সী হত্যাকাণ্ডের সাড়ে চার মাস পর হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ঈদের আগে টিকিট বিক্রির প্রায় ১৭ লাখ টাকা লুটের জন্যই হত্যা করা হয় ইস্রাফিলকে। চারজন পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। আর কিলিং মিশনে থাকা আবু তালেব (২৫) নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, তদন্তে হত্যার মোটিভ বের হওয়ার পর আসামি তালেব গতকাল সোমবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এখন অপর তিন হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার ও লুট হওয়া টাকা উদ্ধারের অভিযানে নেমেছে সিআইডি।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ দৈনিক বার্তাকে বলেন, ‘সাড়ে চার মাসের চেষ্টায় আমরা হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করতে সক্ষম হয়েছি। গত ১১ ফেব্রুয়ারি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দক্ষিণ বাড্ডা এলাকা থেকে আসামি তালেবকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার পুরো মোটিভ পাওয়া গেছে। সে সেচ্ছায় ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে।’
তদন্ত কর্মকর্তা আরও জানান, টাকা লুটের জন্যই চারজন মিলে হত্যা করে রেলের বুকিং সহকারী ইস্রাফিলকে। গ্রেপ্তার হওয়া তালেব জানিয়েছে, সে নিহত ইস্রাফিলের পূর্ব পরিচিত। তালেব ডিসিসি মার্কেটের কাছে ভ্যান চালাতো। তার সঙ্গে থাকা তিনজনের মধ্যে দুজনের অপরাধ কর্মকাণ্ডের পূর্ব অভিজ্ঞাতা আছে। তারা ঘটনার রাতে কৌশলে কাউন্টারের ভেতরে ঢোকে। প্রথমে তারা হাত-পা বেঁধে ইস্রাফিলকে হত্যা করে। এর পর লকার থেকে টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। তবে গতকাল পর্যন্ত তালেব স্বীকারোক্তি অনুযায়ী লুট হওয়া কোনো টাকা উদ্ধার করা যায়নি। তদন্তসংশ্লিষ্টরা বলছেন, টাকার পরিমাণ ও টাকার অবস্থান নিশ্চিত হতে এখনো তদন্ত চলছে।
সূত্র জানায়, গত বছরের ৪ অক্টোবর রাতে কমলাপুর স্টেশনের কাউন্টারের ক্যাশরুমে ঢুকে বুকিং সহকারী ইস্রাফিল হোসেনকে হত্যা করে প্রায় ১৭ লাখ টাকা লুট করে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার এক সপ্তাহের মধ্যে রেলের দুইটি তদন্ত কমিটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করে। ওই প্রতিবেদনে টিকিট কাউন্টারের নিরাপত্তার দুর্বলতার কারণে ক্যাশরুমে ঢুকে কর্মীকে হত্যা করে টাকা লুটের ঘটনা ঘটে বলে উল্লেখ করা হয়। গত বছরে ১৩ অক্টোবর ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশের কাছ থেকে সিআইডিতে মামলার তদন্তভার স্থানান্তরিত হয়। এর আগে ৯ অক্টোবর কাটা লিটন নামে কমলাপুরের এক ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করে দুই দিনের রিমাণ্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। সিআইডিও সন্দেহজনক দুজনকে গ্রেপ্তার করে। তবে এসব আসামির মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডের কোনো রহস্য উদ্ঘাটিত হয়নি।
তদন্তসংশ্লিষ্টরা জানান, ইদুল আজহার আগে টিকিট ব্রিকের ভিড়ে রেলস্টেশনে অনেক লোকসমাগম থাকলেও মধ্যরাত থেকে কাউন্টারের ভেতরে ইস্রাফিল ছিলেন একা। পরিচিত হওয়ার সুবাদে তালেবসহ চার খুনীকে ইস্রাফিল তালা খুলে ভেতরে ঢুকতে দেন। এর পর খুনীরা ইস্রাফিলকে জিম্মি করে। হত্যার পর তারা বাইরের দুইটি তালা আটকে যায়।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ দৈনিক বার্তাকে বলেন, ‘সাড়ে চার মাসের চেষ্টায় আমরা হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করতে সক্ষম হয়েছি। গত ১১ ফেব্রুয়ারি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দক্ষিণ বাড্ডা এলাকা থেকে আসামি তালেবকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার পুরো মোটিভ পাওয়া গেছে। সে সেচ্ছায় ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে।’
তদন্ত কর্মকর্তা আরও জানান, টাকা লুটের জন্যই চারজন মিলে হত্যা করে রেলের বুকিং সহকারী ইস্রাফিলকে। গ্রেপ্তার হওয়া তালেব জানিয়েছে, সে নিহত ইস্রাফিলের পূর্ব পরিচিত। তালেব ডিসিসি মার্কেটের কাছে ভ্যান চালাতো। তার সঙ্গে থাকা তিনজনের মধ্যে দুজনের অপরাধ কর্মকাণ্ডের পূর্ব অভিজ্ঞাতা আছে। তারা ঘটনার রাতে কৌশলে কাউন্টারের ভেতরে ঢোকে। প্রথমে তারা হাত-পা বেঁধে ইস্রাফিলকে হত্যা করে। এর পর লকার থেকে টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। তবে গতকাল পর্যন্ত তালেব স্বীকারোক্তি অনুযায়ী লুট হওয়া কোনো টাকা উদ্ধার করা যায়নি। তদন্তসংশ্লিষ্টরা বলছেন, টাকার পরিমাণ ও টাকার অবস্থান নিশ্চিত হতে এখনো তদন্ত চলছে।
সূত্র জানায়, গত বছরের ৪ অক্টোবর রাতে কমলাপুর স্টেশনের কাউন্টারের ক্যাশরুমে ঢুকে বুকিং সহকারী ইস্রাফিল হোসেনকে হত্যা করে প্রায় ১৭ লাখ টাকা লুট করে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার এক সপ্তাহের মধ্যে রেলের দুইটি তদন্ত কমিটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করে। ওই প্রতিবেদনে টিকিট কাউন্টারের নিরাপত্তার দুর্বলতার কারণে ক্যাশরুমে ঢুকে কর্মীকে হত্যা করে টাকা লুটের ঘটনা ঘটে বলে উল্লেখ করা হয়। গত বছরে ১৩ অক্টোবর ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশের কাছ থেকে সিআইডিতে মামলার তদন্তভার স্থানান্তরিত হয়। এর আগে ৯ অক্টোবর কাটা লিটন নামে কমলাপুরের এক ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করে দুই দিনের রিমাণ্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। সিআইডিও সন্দেহজনক দুজনকে গ্রেপ্তার করে। তবে এসব আসামির মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডের কোনো রহস্য উদ্ঘাটিত হয়নি।
তদন্তসংশ্লিষ্টরা জানান, ইদুল আজহার আগে টিকিট ব্রিকের ভিড়ে রেলস্টেশনে অনেক লোকসমাগম থাকলেও মধ্যরাত থেকে কাউন্টারের ভেতরে ইস্রাফিল ছিলেন একা। পরিচিত হওয়ার সুবাদে তালেবসহ চার খুনীকে ইস্রাফিল তালা খুলে ভেতরে ঢুকতে দেন। এর পর খুনীরা ইস্রাফিলকে জিম্মি করে। হত্যার পর তারা বাইরের দুইটি তালা আটকে যায়।