প্রায় চারশ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে আজ মঙ্গলবার দুপুরে শিবচর পৌঁছান গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে স্থান নিতে যাওয়া বাংলাদেশের মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া রুমা। এর আগে সোমবার রাতে অদম্য রুমা ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে মোবাইলসহ বেশকিছু জিনিস খোয়ান। পায়ে তীব্র ব্যাথা নিয়ে রুমা শিবচরের পাচ্চরে পৌঁছলে তাকে পাচ্চর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ফুলেল সংবর্ধনা দেয় ৫টি সংগঠন।
বক্তব্যকালে জান্নাতুল মাওয়া রুমা ছাত্রীদের উদ্দেশ করে বলেন, বাংলাদেশের নারীরা অনেক এগিয়েছে। আরো এগিয়ে যাবে। তোমরা মনোবল শক্ত করো। ইচ্ছা থাকলে সবই সম্ভব। আমি হেঁটে শুধু বিশ্ব রেকর্ডই গড়তে চাই না। আমি সবাইকে জানাতে চাই। আমরা যারা ঢাকাবাসি তারা ৪/৫ ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকি। সময় নষ্ট করি। কিন্তু হাঁটার অভ্যাস করলে সময় বাঁচতো, টাকা বাঁচতো এবং শরীরও সুস্থ থাকতো। বায়ু ও শব্দ দূষনও কম হতো।
দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রুমী আক্তার উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বলেন, রুপা আপাকে দেখে শত শত ছাত্রী আজ গর্ববোধ করছি। তার পায়ে তীব্র ব্যথা সত্বেও তিন এগিয়ে যাচ্ছেন তা অবিশ্বাস্য।
প্রধান শিক্ষক সামছুল হক বলেন, রুমার বার্তা দেশের নারীসহ সকলকে প্রেরণা জোগাবে।
উল্লেখ্য, এক সপ্তাহ আগে ভারতের কলকাতা প্রেরসক্লাব থেকে ঢাকা প্রেসক্লাব পর্যন্ত ৪৫০ কিলোমিটার পায়ে হাঁটা শুরু করেন রুমা। সোমবার রাতে ভাঙ্গায় পৌঁছানোর পর ছিনতাইকারী দ্বরা আক্রান্ত হয়ে মোবাইলসহ বেশকিছু জিনিস খোয়ান। এরপরও তিনি থেমে থাকেননি।শিবচর প্রেসক্লাব , উপজেলা পুজা উদযাপন ও হিন্দু বৌঐদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, লঞ্চ মালিক সমিতি (মাওয়া জোন) ছাড়াও সহস্রাধিক ছাত্রী তাকে স্বাগত জানান। এ সময় জান্নাতুল মাওয়া রুমা ছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সামছুল হক, উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক প্রদ্যুৎ কুমার সরকার, মাওয়া লঞ্চ মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান মনির, সাংবাদিক মোহাম্মদ আলী মৃধা , কমল কুন্ডু, ননী চক্রবর্ত্তী, সুজন পাল প্রমুখ।
এ সংবর্ধনার পর তিনি পায়ে হেঁটে কাওরাকান্দি ঘাটে পৌছে বিকেলে কাওরাকান্দি ঘাট থেকে রওনা দেন। আগামীকাল বুধবার দুপুরের মধ্যে তিনি ঢাকা প্রেসক্লাবে পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
–