image_53262.mojammel
শিগগির জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হচ্ছে : মোজাম্মেল হক

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে খুব শিগগিরই যুদ্ধাপরাধী জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীরা এ দেশে কোনো রাজনীতি করতে পারবে না। তাদের বিচার হবে।
আজ সোমবার বিকেলে শেখ রাসেল মেমোরিয়াল সমাজ কল্যাণ সংস্থা আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি শেখ সিদ্দিক। ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন ও শিশু হত্যা প্রতিরোধে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সতীশ চন্দ্র রায়, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান দুর্জয়, সাংস্কৃতিক জোটের নেতা অরুণ সরকার রানা ও ফাতিমা জলিল সাথী।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক যুদ্ধাপরাধী ও সাম্প্রদায়িকতামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাম্প্রদায়িকতামুক্ত ও গণতান্ত্রিক সোনার বাংলা গড়ে তুলতে আমাদের আবার ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ যাতে নিরাপদে থাকতে পারে সেই লক্ষ্যে সরকার কাজ করবে। হরতাল অবরোধের নামে নারী শিশুসহ সাধারণ মানুষ হত্যা বন্ধ করার লক্ষ্যে সরকার প্রয়োজনে আইন সংশোধন করবে। বিগত ছয় মাসে বিএনপি-জামায়াত-শিবিরকর্মীদের হাতে যারা হতাহত হয়েছে তাদের দায়িত্ব সরকার নেবে এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
তিনি বলেন, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৯টি দল অংশ নিয়েছিল। এবারও জাতীয় সংসদে ৯টি রাজনৈতিক দল জনগণের প্রতিনিধিত্ব করছে। বিএনপি নেই কিন্তু বিএনএফ আছে। যারা আজ বাংলাদেশের মানবাধিকারের কথা বলে তারা একাত্তর সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। যখন শিশু রাসেলকে হত্যা করা হয়েছিল তখন মানবাধিকার রক্ষাকারীরা কথা বলেননি। টেলিভিশনের আলোচকরা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলেন, কিন্তু তারা পেট্রলবোমা মেরে নারী-শিশুসহ বাসযাত্রী হত্যা করার কথা বলতে পারেন না।
মন্ত্রী বলেন, রাজনীতির নামে রেললাইন উপরে ফেলে আর গাছ কেটে অবরোধ করা গণতন্ত্র হতে পারে না। আওয়ামী লীগ মানবাধিকার লঙ্ঘন করার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের বিকাশে এবং জনগণের কল্যাণে কাজ করে। মাবাধিকার রক্ষায় সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।