image_53237.govtবর্তমান আইনের মেয়াদ আরো পাঁচ বছর বাড়িয়ে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুতবিচার) (সংশোধন) আইন, ২০১৪-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এম মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, এই আইনটি অপরাধ দমনের লক্ষ্যে দুই বছরের জন্য ২০০২ সালে প্রথম জারি করা হয়েছিল। পরে ২০০৪, ২০০৬ ও ২০১২ সালে এর কার্যকারিতা বাড়ানো হয়। আগামী এপ্রিলের ৭ তারিখ এর মেয়াদ শেষ হবে।
সচিব বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মনে করে এটি একটি কার্যকর ফলপ্রসূ আইন। সময়ের পরীক্ষায় আইনটি উত্তীর্ণ হয়েছে। তাই জনস্বার্থে এই আইনটির মেয়াদ আরো পাঁচ বছর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। এর আওতায় অপরাধের শাস্তি হিসাবে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও সর্বনিম্ন দুই বছর কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এই আইনটির মেয়াদ থাকবে ২০১৯ সালের ৭ এপ্রিল পর্যন্ত। তিনি জানান, চাঁদাবাজি, যানবাহন ভাংচুর, যান চলাচলে বাধা, টেন্ডার কেনাবেচায় বাধা, ছিনতাই, ডাকাতি, আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি ক্ষতিসাধনের মতো বড় অপরাধ এই আইনের আওতায় আসবে।
বৈঠকে বিমসটেক সেন্টার ফর ওয়েদার অ্যান্ড ক্লাইমেট (বিসিডাব্লিওসি) প্রতিষ্ঠা ও বিমসটেক কালচারাল ইন্ডাস্ট্রিজ কমিশন অ্যান্ড বিমসটেক কালচারাল ইন্ডাস্ট্রিজ অবজারবেটরি স্বাক্ষরের জন্য দুটি প্রসত্মাবের উপর মেমোরেন্ডাম অব অ্যাসোসিয়েশন (এমওএ) ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদসচিব এম মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, ১ থেকে ৪ মার্চ মিয়ানমারের রাজধানী নাইপিদোতে অনুষ্ঠেয় বিমসটেক শীর্ষ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অপরাপর সরকার প্রধানদের সঙ্গে যোগ দেবেন। তখন এই এমওএ এবং এমওইউ স্বাক্ষরিত হবে।
এই উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশসহ এই আঞ্চলিক অর্থনৈতিক গ্রুপের সদস্য দেশগুলো অনেক উপকৃত হবে।
বৈঠকে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, বিভিন্ন মন্ত্রণালযের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।