গতকাল শনিবার যশোরের বেনাপোলে সড়ক দুর্ঘটনায় একসঙ্গে সাত স্কুল শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যুতে আগামীকাল দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শোক প্রকাশ করবে। আজ রবিবার বিকেল সোয়া ১২টার দিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান সচিবালয়ে তার অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন। আগামীকাল প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের অ্যাসেম্বলিতে এ শোক প্রকাশ করা হবে।এদিকে, আজ দুপুর ২টায় বেনাপোল বলফিল্ডে সাত শিক্ষার্থীর জানাজা একসঙ্গে করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন।
দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন : রুনা, শান্ত, সুরাইয়া, জেবা, মিতালী ওরফে মিথীলা, আঁখি ও সাব্বির। এদের সবার বয়স সাত থেকে ১০ বছরের মধ্যে। নিহত সাত শিশুর মধ্যে পাঁচজনের বাড়িই ছোটআজড়া গ্রামে। এদের মধ্যে সুরাইয়া ও জেবা আপন বোন।
এদিকে, যশোরের বেনাপোলে শনিবারের ওই দুর্ঘটনায় প্রাণহানিতে শার্শা উপজেলায় সব বিদ্যালয়ে আজ ছুটি চলছে, ওড়ানো হয়েছে শোকের কালো পতাকা। এক দুর্ঘটনায় সাত শিশু হারানোর ঘটনায় পৌরসভায় তিন দিনের শোক কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন মেয়র আশরাফুল আলম লিটন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ টি এম শরিফুল আলম বলেন, আমরা নিহত শিশুদের একসঙ্গে জানাজার আয়োজন করেছি। অহিদুল ইসলাম বলেন, শোক পালনে উপজেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একদিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কালো পতাকা ওড়ানো হয়েছে। নিহত শিশুদের স্মরণে উপজেলার সব মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আজ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে বলেও জানান উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান। বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন রবিবার থেকে তিন দিনের শোক কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন, যা মাইকে প্রচার করা হচ্ছে। শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে দুর্ঘটনা সংঘটিত হওয়ার পর রাত ২টার দিকে লাশগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বেনাপোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তিনটি বাসে করে শনিবার সকালে মেহেরপুরের মুজিবনগরে বনভোজনে যায়। ফেরার পথে রাত সাড়ে ৮টার দিকে চৌগাছার ঝাউতলায় ইটভাটার কাছে মাটিবাহী একটি ট্রাককে পাশ কাটাতে গিয়ে একটি বাস উল্টে পাশের পুকুরে পড়ে যায়। এর পর ঘটনাস্থল তিন শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। দ্রুত আহতদের চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়ার পর আরো চারজনের মৃত্যু হয়।
