সংস্কারের নামে অবৈধভাবে বিদু্যতের পোল স্থানানত্মর করতে গিয়ে ভোলায় বিদু্যত্ বিহীন মানুষের ভোগানত্মি চরমে
নিজস্ব সংবাদদাতা,ভোলা,১৫ ফেব্রম্নয়ারি \\ ভোলায় রৰনাবেৰন কাজের সংস্কারের নামে অবৈধভাবে বিদু্যতের পোল (খাম্বা) সরাতে গিয়ে শনিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যনত্ম এরিপের্াট লেখার সময় সমগ্র জেলা বিদু্যত্ বিহীন অবস্থায় রয়েছে৷ সরকারি টাকা খরচ করে বিনা টেন্ডারে ভোলাবাস কে চরম দুভের্াগ পোহাতে হয়েছে৷ বিদু্যত্ না থাকার কারনে সদর উপজেলার নির্বাচনী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন প্রাথর্ীদের চরম ভোগানত্মি পোহাতে৷ অভিযোগ রয়েছে ভোলা ওয়েষ্ট জোন পাওয়ার ডিষ্টিবিউশন কোম্পানির(ওজোপাডিকো) নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃআলী মোটা অংকের টাকার বিনিময় ম্যান্টেনেজের নামে এ ঘটনা ঘটিয়েছে৷ কিন্তু এমডি ও তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খাম্বা সড়ানোর ঘটনার কোন অনুমোদন না থাকার কথা বললেও ভোলা ওজোপাডিকো নির্বাহী প্রকৌশলী মো:আলী ও উপ-সহকারি প্রকৌশলী দুলাল চন্দ্র ঘোষ বলেন,তারা বৈধ ভাবে কাজটি করেছেন৷ এ সরকারি টাকা খরচ করে বিনা টেন্ডারে খাম্বা স্থনত্মরের ঘটনায় ওজোপাডিকোতে শুরম্ন হয়েছে তোলপাড়া৷
ভোলা ওজোপাডিকোর নির্ভর যোগ্য সূত্র জানিয়েছে, শনিবার সকাল থেকে ভোলায় সাব ষ্টেশন রৰনাবেৰনের নামে ঘোষনা দিয়ে বিদু্যত্ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়৷ কিন্তু রৰনাবেৰনের নামে কোন অনুমোদন ছাড়া ভোলা সদর উপজেলার আগারপুল এলাকায় ৩৩ কেভি বিদু্যতের সঞ্চালন লাইনের অন্যত্র স্থানানত্মরে কাজ শুরম্ন করে৷ সরেজমিনে সকালে দেখা যায়, ভোলা বিদু্যত্ অফিসের লোকজন তিনটি নতুন খাম্বা পুতে পুরাতন খাম্বা থেকে তার গুলো নতুন থাম্বায় স্থানত্মর করছে৷ এ ব্যাপারে ভোলা ওজোপাডিকো’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃআলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,অনুমোদন নিয়ে আমার খাম্বা সরাচ্ছি৷ কিন্তু অনুমোদনের তারিখ ও স্বারক নং আছে কিনা জানতে চাইতে তিনি ফোন কেটেদেন৷ দায়িত্বরত উপ-প্রকৌশলী দুলাল চন্দ্র ঘোষ বলেছেন,ভিন্ন কথা৷ তার মতে লাইন সরানোর কাজটি ২১ শহর প্রকল্পের মাধ্যমে সড়ানো হচ্ছে৷ অথচ ওজোপাডিকো’র এমডি আবুল কালাম আযাদ বলেন, ওই লাইন সড়াতে হলে অনুমোদন লাগে৷ কিন্তু এর কোন অনুমোদন নেই৷ সংশিস্নষ্ট সূত্র জানায়, কোন খাম্বা সড়াতে হলে কোন ব্যাক্তি আবেদন করলে তা যাচাই বাছাই করে ষ্টিমিট করার পর আবেদনকারী লাইন স্থানত্মরের জন্য ষ্টিমিটের টাকা ব্যাংকে জমা দিতে হয়৷ এর পর টেন্ডারের মাধ্যমে ওই কাজ ঠিকাদার সম্পন্ন করে৷ কিন্তু অভিযোগ রয়েছে,আগারপুল এলাকার কতিপয় ব্যক্তির কাছ থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময় সরকারি টাকা খরচ করে বিনা টেন্ডারে ওজোপাডিকো’র নির্বাহী প্রকৌশী ও উপ সহকারি প্রকৌশলী একাজটি করেছেন৷ এখবর পেয়ে ওজোপাডিকো তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সাবির উদ্দিন শনিবার দুপুরে অবৈধ খাম্বা স্থানত্মরের কাজ বন্ধ করে দেন বলে সাংবাদিকদের জানান৷
হাসিব রহমান , ভোলা৷