image_109292
কানাডার নাগরিকত্বে ১০ নতুন নীতি

কানাডার নাগরিকত্ব আইনে দশটি নতুন নিয়মনীতি যুক্ত হতে যাচ্ছে। ইমিগ্রেশন ও সিটিজেনশীপ মন্ত্রি ক্রিস আলেক্সান্ডার হাউজ অব কমন্সে কানাডার নাগরিকত্ব আইনে বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রস্তাব দিয়ে একটি বিল উত্থাপন করলেন। যা বর্তমান প্রচলিত ধারার চেয়ে অনেক বেশি কঠিন এবং জটিল বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। কারণ, এই বিল পাশ হলে নাগরিকত্ব অর্জন নানা শর্তের বেড়াজালে আবদ্ধ হয়ে পড়বে।  যেমন, ১/ কানাডার স্থায়ী বাসিন্দারা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে ছয় বছরের মধ্যে ন্যূনতম চার বছর কানাডায় অবস্থান করতে হবে। এই চার বছরের মধ্যে প্রতিবছর অন্তত টানা ৬ মাস অবশ্যই কানাডায় বসবাস করতে হবে। আগে তা চার বছরের মধ্যে তিন বছর সময় সীমা ছিলো এবং প্রতি বছর কোনো নির্দিষ্ট সময় বসবাসের কোনো বাধ্যবাধকতা ছিলো না।  ২/ নতুন নয়মে দ্বৈত নাগরিকদের ক্ষেত্রে সন্ত্রাসবাদ বা অন্যকোনো গুরুতর অপরাধে নাগরিকত্ব হরণের ক্ষমতা পাবে সরকার।  ৩/ ইংরেজি বা ফ্রেঞ্চ ভাষার দক্ষতায় আগে ১৮ থেকে ৫৪ বয়স বিবেচিত হতো। এখন তা ১৪ থেকে ৬৪ বছর পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে।  ৪/ নাগরিকত্বের সংক্রান্ত কোনো অসততা বা প্রতারণার প্রমাণ পেলে জেল ও জরিমানা ১ বছর থেকে ৫ বছর এবং ১ হাজার থেকে ১ লাখ ডলার বৃদ্ধি করা হচ্ছে।  ৫/ প্রস্তাবিত আইনে নাগরিকত্বের জন্য আবেদনকারীকে ‘নাগরিক হিসেবে কানাডায় বসবাস করবো’ এই মর্মে একটি ঘোষনাপত্রে স্বাক্ষর করে জমা দিতে হবে। আগে এই ধরনের ঘোষনাপত্র দেয়ার কোনো বিধান ছিলো না।  ৬/ কারো নাগরিকত্ব বাতিল বা নাগরিকত্ব দেয়ার ব্যাপারে ইমিগ্রেশন মন্ত্রিকে বিশেষ ক্ষমতা দেয়া হয়েছে প্রস্তাবিত আইনে।  ৭/ প্রস্তাবিত প্রক্রিয়ায় সিটিজেনশিপ বিচারকসহ ৩ ধাপের বদলে একজন সিটিজেনশিপ কর্মকর্তার হাতেই সব ক্ষমতা ন্যস্ত হচ্ছে।  ৮/ নাগরিকত্বের আবেদনপত্রের সঙ্গে চার বছরের ট্যাক্স রিটার্নও জমা দিতে হবে। বর্তমানে ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেয়ার কোনো বাধ্যবাধকতার বিধান ছিলোনা।  ৯/ বর্তমানে সিটিজেনশিপ কনসালট্যন্টরা রেজিষ্টার্ড নন। নতুন নিয়মে তা অবশ্যই রেজিষ্টার্ড থাকতে হবে।  ১০/ যারা স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে কানাডিয়ান ফোর্সের সাথে সংশ্লিষ্ট, তারা ৩ বছর পরই নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবে। ১৯৪৭ সালের আগে কানাডায় জন্মগ্রহনকারী যারা বিদেশে বাস করছেন এবং তাদের অভিভাবকরা অন্যদেশে জন্ম নিয়েছেন, সে-সব হারানো কানাডিয়ানদের নাগরিকত্ব প্রদানে সহায়তা করা হবে।  এদিকে নাগরিকত্বের আবেদনের ফি ২০০ ডলার থেকে বাড়িয়ে ৪০০ ডলার করা হয়েছে। যা গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকেই কার্যকর হয়েছে।