
হোটেলের রেজিস্ট্রার অনুযায়ী ওই তরুণীর নাম রহিমা খাতুন (২০), স্বামী আব্দুল মোনাফ, ঠিকানা- শামলাপুর, টেকনাফ, কক্সবাজার। মোবাইল নম্বর : ০১৮১৯০২৫৭৪০। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হোটেলের কর্মচারী পরিচয়ে এক কিশোর জানায়, নিহত তরুণীর সাথে স্বামী উল্লেখ করে আব্দুল মোনাফ নামে একজন লোক ছিলো।
গত শনিবার সকালে তারা হোটেলের ৩১০ নম্বর কক্ষটি ভাড়া নেয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের কোনো সাড়া না পাওয়ায় হোটেলের কয়েকজন কর্মচারী ওই কক্ষের সামনে গেলে কক্ষটি বাইরে তালা লাগানো দেখে তারা। কিন্তু ফোকর দিয়ে ভেতরে রক্তাক্ত লাশ দেখতে পেয়ে তারা পুলিশে খবর দেয়। পরে সদর মডেল থানার একদল পুলিশ গিয়ে দরজার তালা ভেঙে সেখান থেকে তরুণীর লাশ উদ্ধার করে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার এসআই সুনীল সুত্র ধর বলেন, খবর পেয়ে হোটেলের ৩১০ নম্বর কক্ষের মেঝেতে পড়ে থাকা গলাকাটা রক্তাক্ত অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, নিহতের সাথে পাওয়া মোবাইল এর সূত্র ধরে ঘটনার রহস্য বের করার চেষ্টা চলছে। শিগগিরই এর ক্লু উদ্ধার করা যাবে বলে আশা করছি।
উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার শহরের কলাতলী বিচ সিটি রিসোর্ট এর ১১০ নম্বর কক্ষ থেকে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালের চিকিৎসক আসমা সুলতানার লাশ উদ্ধার করা হয়।