দেশীয় ষড়যন্ত্রে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন বিদেশি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। সংগঠনের নেতারা বলেছেন, ‘এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই আল-কায়েদা বাংলাদেশের মানুষকে “ইসলাম বিরোধী”দের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের ডাক দিয়েছে।’
আজ রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে অবস্থিত বটতলায় এক সমাবেশে ছাত্রলীগের নেতারা এ অভিযোগ করেন। এর আগে আন্তর্জাতিক এ জঙ্গি সংগঠনের পাঠানো ভিডিও বার্তার প্রতিবাদে ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে।
সমাবেশে ছাত্রলীগের সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ অভিযোগ করেন, ‘দেশীয় ষড়যন্ত্রে ব্যর্থ হয়ে বিদেশি জঙ্গিদের সহায়তায় খালেদা জিয়া ও তাঁর সন্তান তারেক রহমান দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন। সেই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় আল-কায়েদাকে ভাড়া করে ভিডিও বার্তা দেওয়া হয়েছে।’
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম অভিযোগ করেন, ‘নাটের গুরু তারেক রহমান লন্ডনে থেকে এসব পরিকল্পনা করে যাচ্ছেন।’
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিন থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা কলা ভবন, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ঘুরে বটতলায় মিলিত হন। সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি জয়দেব নন্দী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামসুল কবির রাহাত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেহেদী হাসান, সাধারণ সম্পাদক ওমর শরীফ প্রমুখ। এ সময় সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল শনিবার বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ও গণমাধ্যমে আল-জাওয়াহিরির নাম ও ছবিসহ এক ভিডিও বার্তায় বাংলাদেশে ‘ইসলামবিরোধী ষড়যন্ত্রের’ বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ার আহ্বান জানানো হয়। ‘বাংলাদেশ: ম্যাসাকার বিহাইন্ড এ ওয়াল অব সাইলেন্স’ শীর্ষক এ ভিডিও বার্তার শুরুতে ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশের ওপর হামলার স্থিরচিত্র দেখানো হয়। তবে আল-জাওয়াহিরি তাঁর বক্তব্যে সরাসরি হেফাজতে ইসলাম বা জামায়াতে ইসলামীর নাম উচ্চারণ করেননি। বক্তৃতার একটি অংশে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের বিচার নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। আল-কায়েদার প্রধান বাংলাদেশ সরকারকে ‘ইসলামবিরোধী’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।