
সেইসঙ্গে সন্ত্রাস দমনে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের কাজ করে যাওয়ার কথাও বলেন প্রতিমন্ত্রী। জাওয়াহিরির যে অডিওবার্তা পাওয়া যাচ্ছে ইন্টারনেটে, তাতে বাংলাদেশ সৃষ্টির উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে ইসলামবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মোবাইল ফোনে অপরাধ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মোবাইলে এসব অপরাধ রেজিস্ট্রারবিহীন সিম বিক্রির কারণে সম্ভব হচ্ছে। এটি বন্ধ হলে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অপরাধ বন্ধ হবে।
এ সময় সাংবাদিকরা বলেন, এসব কথা এর আগেও বলা হয়েছে, কিন্তু তা বাস্তাবায়িত হয় না। সাংবাদিকদের এমন মন্তব্যের জবাবে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, কিছু কাজ তো হচ্ছেই। খুব শিগগিরই বাকি কাজ সম্পন্ন হবে।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র সচিব সি কিউ কে মোস্তাক আহাম্মেদ, ডিএমপি কমিশনার বেনজীর আহমেদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিক ড. কামাল উদ্দিন আহম্মেদ, র্যাবের মহাপরিচালক মোখলেসুর রহমান এবং ডিবির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ মে হেফাজতে ইসলামের মতিঝিলের সমাবেশের সূত্র ধরে এই বার্তায় রাজপথে হাজার হাজার মানুষকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে সরকারের বিরুদ্ধে। আর বাংলাদেশ সরকারকে অভিহিত করা হয়েছে ইসলামবিরোধী, ধর্মনিরপেক্ষ সরকার হিসেবে। যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াতে ইসলামী নেতাদের বিচার নিয়েও জঙ্গি সংগঠনটির ক্ষোভ এতে স্পষ্ট হয়েছে।