আগামী ১২ই জুন থেকে ১৩ই জুলাই পর্যন্ত ব্রাজিলে মোট ১২টি ভেন্যুতে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে৷ গত বছরের জুনে কনফেডারেশনস কাপের সময় ব্রাজিলে তীব্র বিক্ষোভ ও সহিংসতার কারণে বিশ্বকাপে ব্যাপক নিরাপত্তা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হয়েছে৷
গত বছরের কনফেডারেশনস কাপের কথা নিশ্চয়ই মনে আছে? বিক্ষোভকারীদের প্রতিবাদে পণ্ড হতে চলেছিল কনফেডারেশনস কাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান৷ এছাড়া এ সপ্তাহে সাঁও পাওলোতে ক্লাব করিন্থিয়ান্সে প্রশিক্ষণ চলার সময় খেলোয়াড়দের উপর হামলার বিষয় ভাবিয়ে তুলেছে কর্তৃপক্ষকে৷ আর এ কারণেই এবার বিশ্বকাপ চলাকালে দেশজুড়ে এক লাখ নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রাজিল কর্তৃপক্ষ৷
ব্রাজিলের বিশেষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা আন্দ্রেই রডরিগেস বলেছেন, ২০১৩ সালের কনফেড কাপের চেয়ে বিশ্বকাপে নিরাপত্তা দ্বিগুণ করা হচ্ছে৷ অর্থাৎ সে সময় নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন ছিল ৫০,০০০ আর এবার হবে এক লাখ৷ এদের মধ্যে পুলিশ ও সেনা সদস্য ছাড়া ন্যাশনাল ফোর্স এবং একটি বিশেষ বাহিনী মোতায়েন থাকবে৷ যাদের কাজ হবে যেকোন মুহূর্তে কোনো দুর্ঘটনার জন্য প্রস্তুত থাকা৷
যে ১২টি শহরে বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে এক সপ্তাহে ধরে সেগুলো পরিদর্শন করেছেন রডরিগেস৷ প্রতিটি স্টেডিয়ামের এলাকার পরিস্থিতি এবং ব্যবস্থাপনা নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে প্রেসিডেন্ট ডিলমা রুসেফকে সেগুলোর আপডেট দিচ্ছেন বলে জানালেন তিনি৷
এদিকে বিশ্বকাপের মাত্র তিন মাস আগে যে ব্রাজিলের মেতে ওঠার কথা উৎসবে, সেখানে চলছে বিক্ষোভ৷ বিশ্বকাপের জন্য স্টেডিয়াম তৈরি আর সংস্কারের কাজে ব্রাজিলিয়ান সরকার যে অর্থ ব্যয় করেছে, তার প্রভাব পড়েছে পরিবহন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে-এমনটাই দাবি বিক্ষোভকারীদের৷ পরিবহন ভাড়া বাড়ানোর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার রিও ডি জানেইরোর প্রধান বাস স্টেশনে এক হাজারেরও বেশি মানুষ বিশ্বকাপের বিরোধিতা করে স্লোগান দেন৷ এ সময় বেশ কিছু বিক্ষোভকারী টিকিট কাউন্টারে ভাঙচুর চালায়৷ পরে পুলিশের সাথে তাদের সংঘর্ষ হয়৷ পুলিশ টিয়ার শেল ছুড়ে এবং লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে৷
গত সপ্তাহে রিও ডি জানেইরোর মেয়র বাস ভাড়া শতকরা ৯ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দেন৷ বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ বিশ্বকাপের জন্য কয়েক বিলিয়ন ডলার ব্যয় হচ্ছে এবং এর ফলে পরিবহন খাতে ব্যয় বাড়ানো হয়েছে৷
এপিবি/এসবি (এপি, এএফপি)