
রাজধানী দিল্লিতে প্রেসিডেন্ট শাসন জারির স্বপক্ষে মত দিল ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। শনিবার সন্ধ্যে নাগাদ প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বাসভবনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক বসে। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বিধানসভা না ভেঙে আপাতত প্রেসিডেন্ট শাসনেই থাকবে দিল্লি। কেজরিওয়াল মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ইস্তফা দেওয়ার পরই জোরদার হচ্ছিল দিল্লিতে প্রেসিডেন্ট শাসনের সম্ভাবনা। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দিল্লি বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ খারিজ করে দিয়েছেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্ণর। বিধানসভা জিইয়ে রেখেই প্রেসিডেন্ট শাসন চালু করার জন্য প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখোপাধ্যায়কে সুপারিশ করেন লেফটেন্যান্ট গভর্ণর নাজিব জঙ্গ। জনলোকপাল বিল পেশ করতে না পারায় গত শুক্রবারই ইস্তফা দেয় কেজরিওয়ালের মন্ত্রিসভা। এরপর দিল্লিতে উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে প্রেসিডেন্টকে রিপোর্ট দেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্ণর। সেই রিপোর্টেই রাজধানীতে প্রেসিডেন্ট শাসন জারি করার সুপারিশ করেন তিনি। তারই ভিত্তিতে আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পরামর্শ চেয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট। এর পরেই দিল্লিতে প্রেসিডেন্ট শাসন চালুর সুপারিশ করেছে ভারতের কেন্দ্রীয মন্ত্রিসভা। সেই সঙ্গে আগামী ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচনেরও সুপারিশ করেছে কেন্দ্রীয সরকার। এদিকে নির্বাচনকে সামনে রেখেই ফের দুর্নীতির বিরোধীতায় আন্দোলনের পথে নামার কথা ঘোষনা করেছে আম আদমি পার্টি। ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ভারত জুড়ে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন কেজরিওয়াল। আন্দোলনে কংগ্রেস ও বিজেপির বিরুদ্ধে একসঙ্গে প্রচার চালানো হবে বলে জানিয়েছে আপ নেতৃত্ব। অরবিন্দ কেজরিওয়াল নিজে ২৩ ফেব্রুয়ারি হরিয়ানা ও ২ মার্চ উত্তরপ্রদেশে আন্দোলনে অংশ নেবেন। দিল্লি সরকার থেকে সরে দাঁড়ালেও লোকসভা ভোটে আপ পুরোদমে অংশ নেবে বলে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেস ও বিজেপি একজোট হয়ে লোকপাল পাশ করতে দেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন আম আদমি পার্টিও তাত্ত্বিক নেতা যোগেন্দ্র যাদব। এদিকে, দিল্লিতে সরকার গঠনে নতুন কওে কোনও ভ’মিকা নেবে না ঘোষনা করার পর ফের নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বিজেপি। আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে আক্রমন করে বিজেপি নেতা হর্ষবর্ধন বলেন, সাধারণ মানুষকে আপ ভুল বুঝিয়েছিল। তা এই কয়েকদিনের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। নতুন নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়ে দিয়েছে বিজেপির নেতৃত¦। তবে ইস্তফা দেওয়ার পরই আপ দলে ভাঙন ধরার আশঙ্কা করছেন রাজনৈতিক মহল। ইতিমধ্যেই আম আদমি পার্টি থেকে বহিষ্কৃত বিধায়ক বিনোদ কুমার বিন্নি বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। আরও বেশ কয়েকজন আপ বিধায়কও বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন।