শেষ ওভারে শ্রীলঙ্কার দরকার ৯ রান, শেষ বলে ২। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে নেমে এল কবরের নিস্তব্ধতা। শুধু স্টেডিয়ামেই কেন, গোটা দেশ তখন দুরুদুরু বুকে অপেক্ষায়। ফরহাদ রেজার বলটা পুল করে স্কয়ার লেগ দিয়ে বাউন্ডারি পার করলেন সেনানায়েকে। আবারও তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচে পরাজয়ের বেদনায় বাংলাদেশের সমর্থকদের হূদয় ভেঙে হলো চুরমার এ ভালোবাসা দিবসে। গত ম্যাচে ২ রানে, আর আজ ৩ উইকেটে পরাজয়। সঙ্গে সিরিজটা হারতে হলো ২-০ ব্যবধানে।
এটা ঠিক, টি-টোয়েন্টিতে এক নম্বর দল শ্রীলঙ্কার কাছে ১২১ রানের লক্ষ্য খুব কঠিন কিছু নয়। তবুও আশায় বসতি, বোলিংয়ে উজ্জীবিত লড়াইয়ে যদি কিছু হয়ে যায়! অনেকটা হলোও তা-ই। ১১.১ ওভারে ৫০ রানে শ্রীলঙ্কার শীর্ষ ছয় ব্যাটসম্যানকে সাজঘরের রাস্তা ধরিয়ে বাংলাদেশের বোলাররা জানান দিলেন, দিনটা নেহাত খারাপ নয়! কিন্তু ধ্বংসস্তূপ ঠেলে দাঁড়ালেন কুমার সাঙ্গাকারা। খেললেন সময়োচিত ৩৮ বলে ৩৭ রানের দারুণ এক ইনিংস। রুবেল হোসেন যখন শ্রীলঙ্কার ৯৬ রানে সাঙ্গাকারাকে ফেরালেন, তখনো আশার আলো জ্বলছে জোরের সঙ্গেই।
কিন্তু সময়ের প্রয়োজনে অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরার ব্যাট চওড়া হয়ে উঠল অস্বাভাবিকভাবে। খেললেন অপরাজিত ৩৫ রানের অসাধারণ এক ইনিংস। এ পর্যায়ে মারভান আতাপাত্তুর কথাটাই মনে পড়ে, ‘টি-টোয়েন্টি হলো ঠিক সময়ে ঠিক কাজটি করার ঠিক লোকটি বেছে নেওয়া আর কাজে লাগানো।’ আতাপাত্তুর কথা শতভাগ সত্যি প্রমাণ করলেন ৮ নম্বরে নামা পেরেরা। এ কারণে ম্যাচসেরাও তিনি। শ্রীলঙ্কার ইনিংসের মাঝপথে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নিয়ে মাশরাফি হয়ে থাকলেন ট্রাজিক হিরো হয়েই।