বলিউডের নির্মাতা আলী আব্বাস জাফর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের গল্প খুব ভালো করেই জানেন। তার বাবা খুব কাছ থেকে দেখেছেন আমাদের যুদ্ধ। বাবার বলা সেসব ঘটনা থেকেই জাফর নির্মাণ করেছেন ‘গুণ্ডে’ ছবিটি।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বাবা-মাকে হারায় বিক্রম ও বালা। প্রাণ বাঁচাতে ভারতে পাড়ি জমায় অনাথ এই দুই বাংলাদেশি। একসময় কিশোর অপরাধী হিসেবে নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে তারা। ক্রমেই অন্ধকার জগতের অপ্রতিদ্বন্দ্বী অপরাধী হয়ে ওঠে। কলকাতার নাইট ক্লাবের নর্তকী নন্দিতার প্রেমে পড়ে বিক্রম ও বালা। দুই প্রেমিকের কাণ্ডকারখানায় বিব্রত হলেও নন্দিতা একসময় দুজনের প্রতিই দুর্বল হয়ে পড়ে।
জাফর বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন ঘটনাবলি সেলুলয়েডে তুলে ধরতে তার বাবার বাস্তব অভিজ্ঞতাগুলোকে কাজে লাগিয়েছেন তিনি। সত্তরের দশকের কলকাতার চিত্র ফুটিয়ে তুলতে পাত্র-পাত্রীদের সাজ-পোশাক ও আচরণে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হয়েছে। হিন্দিতে নির্মিত হলেও ‘গুণ্ডে’ ছবিতে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি সমাজের চিত্রটা তুলে ধরা হয়েছে। ছবির দুটি প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন রণবীর সিং ও অর্জুন কাপুর। নন্দিতার চরিত্রে আছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। ইরফান খান পুলিশ অফিসার সত্যজিৎ। বিশ্বের সবখানে হিন্দিতে ছবিটি মুক্তি দেওয়া হলেও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পাবে বাংলায় ডাবিং করে।