প্রায় ১৪ দিন নিষ্ক্রিয় থাকায় ধরে নেওয়া হয়েছিল চন্দ্রপৃষ্ঠে বিচরণরত চীনা রোবটযান ‘ইউতু’ অর্থাৎ ‘দুষ্টু খরগোশ’-এর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার চীনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ইউতু জীবন ফিরে পেয়েছে। চীনের চন্দ্র অভিযান কর্মসূচির মুখপাত্র পি ঝৌ রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ধীরে ধীরে কর্মক্ষমতা ফিরে পাচ্ছে দুষ্টু খরগোশ৷ রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া পি ঝৌ-এর বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ২৫ জানুয়ারি চান্দ্র রাত্রিতে প্রচণ্ড ঠান্ডায় শীতল ঘুমে ঢলে পড়েছিল খরগোশটি৷ এরপর বিজ্ঞানীদের প্রচেষ্টায় বৃহস্পতিবার রোবটটির ‘স্বাভাবিক বার্তা গ্রাহক কার্যকারিতা’ পুনঃস্থাপন করা হয়৷ এর ফলে রোবটটির সঙ্গে তাঁরা যোগাযোগ স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন৷ তবে এটিকে পুরোপুরি ঠিক করতে এখনো কাজ করছেন প্রকৌশরীরা৷ বিজ্ঞানীরা খুঁজে দেখছেন কি কারণে এটির যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছিল।রোবটটির ‘স্বাভাবিক বার্তা গ্রাহক কার্যকারিতা’ পুনঃস্থাপন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।পি জানান, অস্বাভাবিক কোনো কারণে রোবটটি ঘুমিয়ে পড়েছিল৷ এর আগে, মহাকাশ কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন যে, চন্দ্র পৃষ্ঠের জটিল পরিবেশের কারণে সৌরশক্তিতে চালিত রোববটি তার শক্তি হারিয়ে ফেলেছে৷ তবে এর কারণ ব্যাখ্যা করতে পারেননি তাঁরা৷ আন্তর্জাতিক মহাকাশ বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, রোবটটির সৌর প্যানেলের সাথে যুক্ত যেসব ইলেকট্রিক মোটর রয়েছে, সেগুলোর ত্রুটির কারণেই এমনটা হয়েছে৷
গত বছরের ১ ডিসেম্বর ইউতু চাঁদের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে এবং চন্দ্রপৃষ্ঠে এটি সফলভাবে অবতরণ করে ১৪ ডিসেম্বর৷ সৌরশক্তিতে চালিত রোবটটির ছয়টি চাকা রয়েছে এবং এর ওজন ১২০ কেজি। এর সাথে যুক্ত রয়েছে ২০ কিলোগ্রামের রোবটিক বাহু, যেটি মাটি খুড়তে সক্ষম৷ তিন মাস ধরে চন্দ্র পৃষ্ঠ থেকে বিভিন্ন উপাত্ত সংগ্রহ করে তা পৃথিবীতে পাঠানোই রোবটটির কাজ৷ চীনের পৌরাণিক কাহিনিতে চন্দ্র পরীর পোষা খরগোশের নাম ইউতু৷ তাই রোবটটির নাম রাখা হয়েছে ঐ নামে। সূত্র : ডয়েচে ভেলে