জরিপের ফল অনুযায়ী, এই মুহূর্তে নির্বাচন হলে এককভাবে ২০২টি আসন পেতে পারে বিজেপি। এর শরিক দলগুলো পাবে ২৫টি আসন। এর মানে লোকসভার ৫৪৩ আসনের মধ্যে ২২৭ আসন পাবে বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট জাতীয় গণতান্ত্রিক মোর্চা (এনডিএ)। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস পাবে মাত্র ৮৯টি আসন। এর শরিক দলগুলো পাবে আরও ১২টি আসন। কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন জোট সংযুক্ত প্রগতিশীল মোর্চা (ইউপিএ) সব মিলিয়ে কোনো রকমে ১০০ আসন পার করবে। ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ইউপিএ পেয়েছিল ২৬২টি আসন, এনডিএ পেয়েছিল ১৫৯টি আসন।
জরিপ অনুযায়ী, বিজেপি ও কংগ্রেসের বাইরে বাকি সব দল মিলিয়ে পাবে ২১৫ আসন। এসব দলের অনেকেই আবার অতীতে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। ভারতের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যাঁরা নরেন্দ্র মোদিকে ভাবছেন, তাঁদের জন্য জরিপটি স্বস্তিরই বটে। জরিপে ভোটের হিসাবে এনডিএ পাবে শতকরা ৩৬ ভাগ, আর ইউপিএ ২২ ভাগ। বাকি দলগুলো মিলে পাবে ৪২ শতাংশ ভোট।
জরিপের ফল অনুযায়ী, এই মুহূর্তে নির্বাচন হলে সাড়াজাগানো আম আদমি পার্টি (এএপি) পাবে সাতটি আসন। এর মধ্যে চারটি আসন দলটি জিতবে দিল্লির বাইরে থেকে। ভোটের হিসাবে এএপি পাবে ৮ শতাংশ। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ও কংগ্রেসের বাইরে নিকট অতীতে অন্য কোনো দল এত বেশি ভোট পায়নি।
জরিপের ফল অনুযায়ী, এই মুহূর্তে যেসব দল বিজেপি ও কংগ্রেস কারও সঙ্গেই জোটভুক্ত নয়, সেগুলোর মধ্যে এআইএডিএমকে ও বাম জোট প্রতিটি ২৭টি করে আসন পাবে। এ ছাড়া তৃণমূল কংগ্রেস ২৪টি, বিএসপি ২১টি ও এসপি ২০টি আসন পাবে।