যশোরের অভয়নগরে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে সন্ত্রাসীর বাহিনী প্রধান মেজবাউর রহমান (৪২) নিহত হয়েছেন। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে অভয়নগরের মালোপাড়ার পাশে শালবনে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ সময় ১টি পিস্তল ও ১টি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়। নিহত মেজবাউর অভয়নগর উপজেলার মাগুরা গ্রামের রমজান আলী বিশ্বাসের ছেলে এবং স্থানীয় সন্ত্রাসী চক্র মেজবাহ বাহিনীর প্রধান।
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খবির উদ্দিন মোল্যা জানান, সন্ত্রাসী বাহিনী প্রধান মেজবাউর রহমান ওই রাতে অভয়নগরের মালোপাড়ার পাশে শালবনে তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে গোপন বৈঠক করছিল। এ খবর পেয়ে সেখানে র্যাব সদস্যরা অভিযান চালায়। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে মেজবাহ বাহিনীর সদস্যর গুলি চালায়। র্যাবও পাল্টা গুলিবর্ষণ করে।
এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হলে ক্রসফায়ারে পড়ে গুলিবিদ্ধ হয় মেজবাহ। পরে মেজবাহ বাহিনীর সদস্যরা পালিয়ে গেলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে ১টি পিস্তল ও ১টি ওয়ানশুটার গান উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে ২৮ জানুয়ারি ভোরে যশোরের অভয়নগর উপজেলার জিয়াডাঙ্গা গ্রামে যৌথবাহিনীর সাথে বন্দুকযুদ্ধে মেজবাহ বাহিনীল সেকেন্ড ইন কমান্ড রবিউল ইসলাম নিহত হয়। সে অভয়নগর উপজেলার মাগুরা গ্রামের আব্দুর রবের ছেলে।
কে এই দুর্ধর্ষ মেজবাউর: নিহত চৈতন্যের ভাইপো সমীর মন্ডলের ঘনিষ্ট বন্ধু ছিল মেজবাউর। এরা দু’জনসহ রফিক নামে এ গ্রামের আরেক যুবক ৯০’র দশকে যশোরের আলোচিত শংকরপুরের হাসান সিন্ডিকেটে যোগ দেয়ার মধ্যদিয়ে অপরাধ জগতে পা রাখেন। তখন থেকে হাসান সিন্ডিকেটের প্রধান আস্তানা শংকরপুরেই ঘাঁটি গাড়েন তারা। সেখানে বোমা বানানোর সময় একটি হাত উড়ে যায় মেজবাউরের। তখন সে পরিচিতি পায় টুন্ডো মেজবাউর নামে।
২০০৯ সালে বাহিনি প্রধান হাসান ও তার সহোদর র্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত হবার পর তিনবন্ধু মেজবাউর, সমীর ও রফিক চলে যান ঢাকায়। সেখানে গিয়েও সমানতালে অব্যাহত রাখেন খুন, ডাকাতি, চাঁদাবাজিসহ অপরাধ তৎপরতা। পুলিশ জানায়, সাতক্ষীরার একটি গণডাকাতিসহ দেশের বিভিন্ন থানার ৭টি হত্যা মামলার আসামি মেজবাউর। বাকি দু’জনের নামেও হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
দীর্ঘ সময় ধরে অভয়নগরের একটি অংশে মেজবাহ বাহিনী রামরাজত্ব কায়েম করলেও সর্বশেষ ২৬ জানুয়ারি স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক আওয়ামী লীগ নেতা চৈতন্য মন্ডল হত্যাকান্ডের মধ্যে দিয়ে ফের আলোচনায় আসে মেজবাহ বাহিনী।
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খবির উদ্দিন মোল্যা জানান, সন্ত্রাসী বাহিনী প্রধান মেজবাউর রহমান ওই রাতে অভয়নগরের মালোপাড়ার পাশে শালবনে তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে গোপন বৈঠক করছিল। এ খবর পেয়ে সেখানে র্যাব সদস্যরা অভিযান চালায়। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে মেজবাহ বাহিনীর সদস্যর গুলি চালায়। র্যাবও পাল্টা গুলিবর্ষণ করে।
এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হলে ক্রসফায়ারে পড়ে গুলিবিদ্ধ হয় মেজবাহ। পরে মেজবাহ বাহিনীর সদস্যরা পালিয়ে গেলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে ১টি পিস্তল ও ১টি ওয়ানশুটার গান উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে ২৮ জানুয়ারি ভোরে যশোরের অভয়নগর উপজেলার জিয়াডাঙ্গা গ্রামে যৌথবাহিনীর সাথে বন্দুকযুদ্ধে মেজবাহ বাহিনীল সেকেন্ড ইন কমান্ড রবিউল ইসলাম নিহত হয়। সে অভয়নগর উপজেলার মাগুরা গ্রামের আব্দুর রবের ছেলে।
কে এই দুর্ধর্ষ মেজবাউর: নিহত চৈতন্যের ভাইপো সমীর মন্ডলের ঘনিষ্ট বন্ধু ছিল মেজবাউর। এরা দু’জনসহ রফিক নামে এ গ্রামের আরেক যুবক ৯০’র দশকে যশোরের আলোচিত শংকরপুরের হাসান সিন্ডিকেটে যোগ দেয়ার মধ্যদিয়ে অপরাধ জগতে পা রাখেন। তখন থেকে হাসান সিন্ডিকেটের প্রধান আস্তানা শংকরপুরেই ঘাঁটি গাড়েন তারা। সেখানে বোমা বানানোর সময় একটি হাত উড়ে যায় মেজবাউরের। তখন সে পরিচিতি পায় টুন্ডো মেজবাউর নামে।
২০০৯ সালে বাহিনি প্রধান হাসান ও তার সহোদর র্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত হবার পর তিনবন্ধু মেজবাউর, সমীর ও রফিক চলে যান ঢাকায়। সেখানে গিয়েও সমানতালে অব্যাহত রাখেন খুন, ডাকাতি, চাঁদাবাজিসহ অপরাধ তৎপরতা। পুলিশ জানায়, সাতক্ষীরার একটি গণডাকাতিসহ দেশের বিভিন্ন থানার ৭টি হত্যা মামলার আসামি মেজবাউর। বাকি দু’জনের নামেও হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
দীর্ঘ সময় ধরে অভয়নগরের একটি অংশে মেজবাহ বাহিনী রামরাজত্ব কায়েম করলেও সর্বশেষ ২৬ জানুয়ারি স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক আওয়ামী লীগ নেতা চৈতন্য মন্ডল হত্যাকান্ডের মধ্যে দিয়ে ফের আলোচনায় আসে মেজবাহ বাহিনী।