ভারতের ছত্তিসগড়ে দেখা মিলল মহাভারত যুগের উড়ন্ত সাপের। ইংরেজিতে বৈজ্ঞানিক নাম, ক্রাইসোপিলিয়া। খুবই বিষাক্ত। ছোট-খাটো দূরত্ব উড়েই অতিক্রম করতে সক্ষম। মাটি থেকে ৩০-৪০ ফুট উঁচুতে ‘এস আকৃতিতে’ অনায়াসে উড়ে গিয়ে লক্ষ্যবস্তুর উপর আছড়ে পড়তে পারে কয়েক ফুট লম্বা তক্ষক প্রজাতির এই সাপ। এই উড়ুক্কু সাপের সন্ধান মিলেছে ছত্তিসগড়ের বস্তার জেলার বাইলাডিলার দুর্গম পাহাড়ে।
পাঁচ হাজার বছর আগে মহাভারতের যুগে নাকি অস্তিত্ব ছিল তার। এরপর আর সেইভাবে দেখা মেলেনি। ফের তার দেখা মিলেছে। স্থানীয় কিরান্দুল কলেজের অধ্যক্ষ ও বৈজ্ঞানিক এসকেএস গজেন্দ্র দাবি করেছেন, বাইলাডিলা সংলগ্ন আদিবাসীরা এবং তিনি নিজে এই উড়ুক্কু সাপ দেখেছেন। তিনিও প্রথমে বিশ্বাস করতে চাননি। কিন্তু অনেক দূর থেকে একবারই দেখেছেন হালকা হলুদ রঙের এই সাপকে। তিনি নিশ্চিত ভুল তার হওয়ার নয়। তার দাবি, অসংখ্য উড়ন্ত সাপ বাইলাডিলা পাহাড় ও গভীর জঙ্গলে লুকিয়ে রয়েছে। সচরাচর এরা লোকালয়ে আসে না। তিনি যখন সাপটিকে দেখলেন তখন কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই জঙ্গলে হাওয়া সাপটি। গত কয়েক মাসে আদিবাসীরা বেশ কয়েকবার উড়ন্ত সাপ দেখার পর ঘটনাটি জানাজানি হয়।
উত্তর ভারতের জনপ্রিয় সংবাদপত্র ‘অমর উজালা’ কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অধ্যক্ষ গজেন্দ্র জানিয়েছেন, মহাভারতে বর্ণনা আছে, উড়ন্ত সাপ কামড়েছিল হস্তিনাপুরের রাজা পরীক্ষিৎকে। মহাভারতের বর্ণনা অনুসারে, তখনকার ভৌগোলিক বিবরণ বলছে সেই সাপ এসেছিল বাইলাডিলা পাহাড় থেকেই। ফের হাজার হাজার বছর পরে সেই সাপের হদিশ মিলল বাইলাডিলা এলাকাতেই। অমর উজালায় প্রকাশিত খবরটি উদ্ধৃত করে বুধবার বিস্তারিত খবর প্রকাশ করেছে নিউজ এইট্টিন ডট কম।