05-arvind-kejriwal-delhi-cm-602
বাংলাদেশের গ্যাস নিয়ে কেজরিওয়ালের মšত্মব্য

দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল নাইকোর কথা উল্লেখ করে বলেছেন, এই কোম্পানীটি বাংলাদেশে ভারতের চেয়ে প্রায় অর্ধেক মূল্যে গ্যাস বিক্রি করছে। একে তিনি আপেল আর কমলার মধ্যে তুলনা করেছেন।
নাইকো বাংলাদেশের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত বাপেক্স-এর কাছে ব্লক-৯ থেকে প্রতি ১০ লাখ ঘনফুট গ্যাস বিক্রি করে ২ দশমিক ৪ থেকে ২ দশমিক ৬ ডলার মূল্যে। এই ব্লক ভূমির ওপর গ্যাস ক্ষেত্র যা ঢাকার পশ্চিম দিকে অবস্থিত এবং এর উৎপাদন ক্ষমতা ১০ কোটি ঘনফুট ও ৩০০ ব্যারেল।
বাংলাদেশে গ্যাসের মূল্য নির্ধারণ করা হয় ১০ লাখ ঘনফুট হিসেবে। ভারতীয় পদ্ধতিতে এমএমবিটিইউ (১০ লাখ মেট্রিক বৃটিশ থার্মাল ইউনিট) হিসেবে গ্যাসের মূল্য নির্ধারিত হয়। ভারতে প্রতি ঘনমিটার গ্যাস বিক্রি হয় ২ দশমিক ০৪ এবং দশমিক ৮ ডলারে।
ভারতে বর্তমানে গ্যাসের মূল্য প্রতি এমএমবিটিইউ ৪ দশমিক ২ ডলার। ব্লক-৯ একটি গ্যাস ক্ষেত্র যা কয়েক বছর আগে নাইকোকে দেয়া হয়েছিল কোন রকম দরপত্র আহ্বান ছাড়াই। ভূমির ওপর গ্যাস ক্ষেত্রে অনুসন্ধান ও উৎপাদনে কম সময় ও বিনিয়োগ প্রয়োজন হয়। অন্ধ্র উপকূলের কাছে কেজি-ডি৬-এর মত গভীর পানিতে স্থাপিত ব্লকে ব্যয় হয় অনেক বেশি।
বাংলাদেশের বাজার আর ভারতের বাজার এক নয়। বাংলাদেশের মোট দেশীয় উৎপাদন থেকে ভোক্তা পর্যায়ে গ্যাসের চাহিদা খুব বেশি নয়। ভারত প্রায় ৪০ শতাংশ গ্যাসের চাহিদা পুরণ করে আমদানি করে যেখানে দাম পড়ে প্রতি এমএমবিটিইউ ১৮ ডলার করে। গত কয়েক বছরে কিছুটা অনুকূলে দাম থাকায় বাংলাদেশে রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত অনুসন্ধানকারী কোম্পানি বাপেক্স বিনিয়োগ, অনুসন্ধান বা উৎপাদন বাড়ানোর মত কোন পদক্ষেপই নিতে পারছে না।
গত বছরের ১ অক্টোবর অষ্ট্রেলিয়ার সাšেত্মাস বাংলাদেশে তার একমাত্র সমুদ্রে নির্মিত গ্যাসক্ষেত্র বন্ধ করে দেয় উৎপাদন বাণিজ্যিক পর্যায়ে পৌঁছাতে না পারায়। ইকোনমিক টাইমস