ভারতে বাংলাদেশি অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের সংখ্যা কম হাওয়া সত্বেও বিষয়টিকে অত্যšত্ম উদ্বেগজনক ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসাবে দেখছেন দেশটির সেনাপ্রধান বিক্রম সিং। তবে ভারত সরকার বারবার বলেছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা দেশটির নিরাপত্তার জন্য কোন রকম হুমকি নয়। টাইমস অব ইণ্ডিয়া
মঙ্গলবার সিকিউরিটি থিংক ট্যাংক আয়োজিত ‘বর্ডার এন্ড নক্সাল ম্যানেজমেন্ট’ শীর্ষক এক সেমিনারে দেওয়া এক বক্তব্যে এই উদ্বেগের কথা তুলে ধরেন ভারতের সেনাপ্রধান। বিক্রম সিং বলেন, ‘ভারতে বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারীরা জনসংখ্যা সম্পর্কিত সমস্যা সৃষ্টি করছেন। তাদের কারণে উত্তর ভারতের আসামসহ পাশ্ববর্তী অঞ্চলগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়েছে। সরকারকে অচিরেই বাংলাদেশি অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।’
এরপরে বিক্রম সিং কাশ্মীর ইস্যূ নিয়েও কথা বলেন। বিক্রম সিং পাকি¯ত্মানকে দোষারোপ করে বলেন, ইসলামাবাদ বারবার কাশ্মীর অঞ্চলে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করছে। প্রায় পাকি¯ত্মান সেনাবাহিনী সীমানা চুক্তি লংঘন করে কাস্মীর সীমাšেত্ম উত্তেজনা সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, ‘২০০৩ সালের অস্ত্রবিরতি চুক্তি অনেক ভাল কাজ করেছে। কিšত্ম সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে কাশ্মীর সীমাšেত্ম উত্তেজনা বৃদ্ধি করতে পাকি¯ত্মান সেনাবাহিনী সেখানে জঙ্গী ইস্যূ নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করছে। সেই সাথে পাকি¯ত্মান কাশ্মীর অঞ্চলে রেকর্ড সংখ্যক সেনাসদস্য মোতায়ন করেছে। তারা কয়েকবার সীমাšত্ম চুক্তি লংঘন করেছে। তবে ভারতীয় বাহিনী তাদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন ‘পাকি¯ত্মান যতদিন পর্যšত্ম কাশ্মীর সীমাšেত্ম লষ্কর-ই-তৈয়েবার সাথে সম্পর্ক রেখে আর্থিক লেনদেন, অস্ত্র-সস্ত্র লেনদেন করবে, এই অঞ্চলে বিশৃংখলা সৃষ্টি করবে, তত দিন পর্যšত্ম ভারতীয় বাহিনী কাশ্মীরে কাজ করে যাবে। এক্ষেত্রে কোন রকম ছাড় দেওয়া হবে না।’
সিং অভিযোগ করেন কাশ্মীরের ভূতপূর্ব জঙ্গীরা একটি রাষ্ট্রের সরাসরি সহযোগিতায় নেপালকে রুট হিসাবে ব্যবহার করে পুনরায় এই অঞ্চলে ফিরে আসছে। তারা নতুন করে এই অঞ্চলে জঙ্গী কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য আবারও সংগঠিত হচ্ছে। যেটি ভারতের নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ। ভারত সরকারকে অচিরেই এই বিষয়ে আশু পদক্ষেপ নিতে হবে।
এছাড়া ভারতীয় সেনাপ্রধান কারগিল যুদ্ধের বিষয়বস্তু নিয়ে ২০০০ সালে দেওয়া রিপোর্ট এর ভিত্তিতে কয়েক জন মন্ত্রীর সুপারিশক্রমে বা¯ত্মবায়িত কিছু কর্মকান্ড নিয়ে অনেকটা দুঃখ প্রকাশ করেন। সুপারিশে ভারতীয় সীমাšত্ম অঞ্চলগুলোতে সবধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বৃদ্ধি, গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি, এক বর্ডার এক বাহিনী নীতি বা¯ত্মবায়নের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ করা হয়।