দারুণ খবর দিলেন এক বিজ্ঞানী। আমাদের চেনা-জানা পৃথিবীর বাইরে মহাকাশের অন্য কোথাও কোনো প্রাণী আছে কিনা তা নিয়ে গবেষণা আজকের বিষয় নয়। ভিনগ্রহের প্রাণী বা এলিয়েন নিয়ে মানুষের বিস্তর আগ্রহ রয়েছে। এক বিজ্ঞানী বলছেন, আগামী ২৫ বছরের মধ্যে আমরা ভিনগ্রহের কোনো বুদ্ধিমান প্রাণীকে দেখতে পাব।এ বছরের চলতি মাসেই স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘নাসা অ্যাডভান্সড কনসেপ্টস সিম্পোজিয়াম’-এ ‘সার্চ ফর একট্রাটেরিসট্রিয়াল ইন্টেলিজেন্স’-এর বিজ্ঞানী সিথ স্যোটাক জানালেন, কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে আগামী দুই ডজন বছরের মধ্যেই আমরা ই-টি বা এক্সট্রা-টেরিসট্রিয়াল খুঁজে পাব। এ বিজ্ঞানীর বক্তব্য অনুযায়ী লাইভসায়েন্স ডট কম-এর একটি প্রতিবেদন বলছে, পৃথিবীবাসীর সঙ্গে ২০৪০ সালের মধ্যেই এলিয়েনদের সাক্ষাৎ ঘটবে। ওই সময়ের মধ্যে মহাকাশ বিজ্ঞানীরা অসীম মহাকাশের তারকা-নক্ষত্রপুঞ্জে এলিয়েনদের সৃষ্ট ইলেকট্রোম্যাগনেটিক সিগনাল ধরতে পারবেন বলে দাবি করেন এ বিজ্ঞানী।স্যোটাকের এ বিশ্বাসকে আরো দৃঢ় করেছে গ্রহ পর্যবেক্ষণে ব্যবহৃত নাসার কেপলার স্পেস টেলিস্কোপ। নাসার এ দূরবীক্ষণটির কল্যাণে আজ অবধি বিজ্ঞানীরা এ তথ্য পেয়েছেন যে, পৃথিবীর মতো বহু গ্রহে ঠাসা আমাদের এই মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি যেখানে প্রাণের অস্তিত্ব থাকাটা প্রায় নিশ্চিত।
সিথ বিশ্বাস করেন, আমাদের গ্যালাক্সির পাঁচটি নক্ষত্রের অধীনে লক্ষ-কোটি গ্রহ রয়েছে। এদের মধ্যে পৃথিবীর মতো অন্তত একটি গ্রহ তো রয়েছেই যেখানে প্রাণের বিকাশ ঘটেছে। কাজেই অগণিত এসব গ্রহের মধ্যে প্রাণের অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
আর অজানা স্থানের না জানা এসব বুদ্ধিমান এলিয়েনদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য রেডিও সিগনাল পাঠানো হচ্ছে তাদের কাছ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য। আবার তারাও হয়তো ধৈর্য ও সাবধানতার সঙ্গে রেডিও সিগনাল পাঠাচ্ছে আমাদের মতো কারো কাছ থেকে কোনো পাল্টা জবাবের আশায়, জানালেন আশাবাদী সিথ। সূত্র : ফক্স নিউজ