উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থন না পেয়ে অবশেষে বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন পটিয়ার আফরোজা বেগম। এলাকায় তিনি জলি নামে পরিচিত।
গত পাঁচ বছর আফরোজা বেগম আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। পটিয়া উপজেলা মহিলা যুবলীগের আহ্বায়ক পরিচয় দিয়ে তিনি নানা সুবিধা ভোগ করেন। আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে পটিয়ায় আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী হিসেবে সাজেদা বেগমের নাম প্রচার হওয়ায় আফরোজা বেকায়দায় পড়েন। বিএনপিতে যোগ দেয়ার জন্য শুরু করেন দৌঁড়ঝাপ। অবশেষে রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দেন আফরোজা।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম বলেন, ‘দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো বলে একটি প্রবাদ আছে। এই মুহূর্তে দুষ্ট হলেও আমাদের সমস্যা নেই। পটিয়ায় আওয়ামী লীগের একাধিক মহিলা প্রার্থী আছে। বিএনপিতে প্রার্থী না থাকায় জলিই আমাদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী।’
রোববার চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি গাজী মোহাম্মদ শাহজাহান জুয়েলের চট্টগ্রাম নগরের বাসভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দেন আফরোজা বেগম। এ ঘটনায় পটিয়ায় নানা সমালোচনা চলছে। বিএনপি ছাড়াও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মধ্যে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আ ক ম শামসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘কী কারণে বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন তা আমি জানি না।’
আফরোজার বিএনপিতে যোগদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা যুবদল সভাপতি বদরুল খায়ের চৌধুরী, শ্রমিক দল নেতা গোলাম মহিউদ্দিন, জেলা বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক জাহেদুল হক, জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুল আলম, উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, পৌরসভা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী মনির, কর্ণফুলী থানা মহিলা দলের সভাপতি শামীমা আকতার, যুবদল নেতা মাঈনুল ইসলাম মামুন, জামাল হোসেন, ছাত্রদল নেতা জমির হোসেন প্রমুখ।