যুক্তরাষ্ট্রের সমুদ্রসীমার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ইরানি নৌবহর। ইরানের উত্তরাঞ্চলীয় নৌবহরকে এ ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পারস্য উপসাগরে মার্কিন যুদ্ধজাহাজের অবস্থানের প্রতিক্রিয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানিয়েছেন ইরানি নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তা।
শনিবার ইরানি বার্তা সংস্থা ফারস এ খবর জানিয়েছে।
ইরানি নৌবাহিনীর কর্মকর্তা অ্যাডমিরাল আফশিন রেজায়ি হাদ্দাদ বলেছেন, “ইরানি সামরিক নৌবহর যুক্তরাষ্ট্রের সমুদ্রসীমার দিকে এগিয়ে যাওয়ার মধ্যে একটি বার্তা আছে।” বার্তাটি ‘সতর্ক বার্তা’ বলে জানিয়েছে রেডিও তেহরান।
ইরানের উত্তরাঞ্চলীয় নৌবহরের কমান্ডার হাদ্দাদ জানিয়েছেন, নৌবহর দক্ষিণ আফ্রিকার নিকটবর্তী আটলান্টিক মহাসাগরীয় জলসীমা দিয়ে যাত্রা শুরু করেছে।
ফারস জানিয়েছে. “পারস্য উপসাগরে ওয়াশিংটনের নৌ-শক্তির উপস্থিতিতে ইরানি প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”
যুক্তরাষ্ট্রের দিকে রওয়ানা হওয়া যুদ্ধজাহজগুলো কী ধরনের বা তাদের ক্ষমতা কেমন, তা ফারসের প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। প্রতিবেদনটি নিরপেক্ষ কোনো সূত্রের মাধ্যমে যাচাই করা সম্ভব হয়নি বলেও জানিয়েছে রয়টার্স।
তবে যে কোনো জাহাজ আন্তর্জাতিক জলসীমায় মুক্তভাবে চালচল করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা। যুক্তি হিসেবে বলেন, পারস্য উপসাগরে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলো নিয়মিত নৌমহড়ার আয়োজন করে থাকে। বিশ্বের তেল সম্পদের ৪০ শতাংশ যে জলসীমা দিয়ে রপ্তানী করা হয়, তার অবাধ চলাচল নিশ্চিত করতেই এসব নৌমহড়া চালানো হয়।
পারস্য উপসাগরের দ্বীপদেশ বাহরাইনে যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম নৌবহরের ঘাঁটি আছে।
আক্রান্ত হলে পারস্য উপসাগর থেকে বের হওয়ার একমাত্র পথ হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে ইরানি কর্মকর্তারা প্রায়ই বলে থাকেন। পশ্চিমা নৌমহড়াগুলো ইরানি এই হুমকি থেকে হরমুজ প্রণালীকে মুক্ত রাখার প্রত্যয়েই আয়োজন করা হয়।
ফারস জানিয়েছে, ২০১০ সাল থেকেই ইরানি যুদ্ধজাহাজগুলো আন্তর্জাতিক নৌসীমায় টহল দিয়ে আসছে।