57548_wwww_66654সিঙ্গাপুরে আইসিসির বৈঠকে তিন মোড়লের (ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড) দেয়া প্রশাসনিক ও আর্থিক সংস্কার বিষয়ক প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। তবে টেস্টে দ্বিস্তর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। আইসিসির বৈঠকে এই প্রস্তাব পাস হয়েছে বলে আইসিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। শনিবার সিঙ্গাপুরে আইসিসির সভায় ১০টি স্থায়ী দেশের মধ্যে বাংলাদেশসহ ৮টি দেশ ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের আনা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। ভোটদানে বিরত ছিল শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান বোর্ড। তিন মোড়লের পরিবর্তিত প্রস্তাবের পক্ষ নিয়েছে আট দেশ (ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, বাংলাদেশ, নিউজিল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকা)। অন্যদিকে তিন মোড়লের দেওয়া প্রস্তাবের বিরোধিতা করে দক্ষিণ আফ্রিকা লিখিত প্রস্তাব দিয়েছিল। শ্রীলঙ্কা বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে। আর পাকিস্তান প্রস্তাবের বিপক্ষে তাদের খেদোক্তি প্রকাশ করে। শনিবার দুপুরে একটি প্রকাশিত আইসিসি’র বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়- টেস্ট ক্রিকেট দ্বিস্তরবিশিষ্ট হচ্ছে না। ফলে বাংলাদেশের জন্য কোনো হুমকি থাকছে না। ২০২৩ সাল পর্যন্ত থাকছে এফটিপি। টেস্ট থেকে আয়ের অংশ টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে বণ্টন করা হবে। সে ক্ষেত্রে কিছুটা বেশি পাবে তিন ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড। সহযোগী দেশগুলোকে তুলে আনতে আর বেশি সুযোগ দেয়া হবে। ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পরিবর্তে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি চালু করা হবে ২০১৭ সাল থেকে। চলতি বছরের জুলাই থেকে আইসিসির চেয়ারম্যান হবেন ভারতের এন শ্রীনিবাসন। সভা শেষে আইসিসি সভাপতি অ্যালান আইজ্যাক বলেন, বোর্ড শনিবার কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা ভবিষ্যৎ পরিচালন পদ্ধতি, প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং অর্থনৈতিক পদ্ধতি আরো সুদৃঢ় হবে। সদস্য দেশগুলোর বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তগুলো নেয়া হয়েছে, যা ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ড গেল জানুয়ারি মাসে দিয়েছিল। এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি খড়সা প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সেগুলো পরিবর্তন এবং পরিবর্ধন করা হয়েছে। পরিবর্তিত প্রস্তাবটি আজ আট সদস্য দেশের ভোটের মাধ্যমে অনুমোদিত হয়েছে। দুটি সদস্যদেশ এর বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। তারা আরো বিস্তারিত আলোচনার জন্য আগামী সপ্তাহে বসবে। আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভিড রিচার্ডসন বলেন, বোর্ডের কাছ থেকে এত দিনে আমরা পরিষ্কর একটি নির্দেশনা পেয়েছি। এখন আমাদের কাজ হচ্ছে অনুমোদিত বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করা