মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল সিএনবিসি বিশ্বের ২০০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তির একটি তালিকা তৈরি করেছে৷ অনলাইন ভোটাভুটির মাধ্যমে এই তালিকা থেকে শীর্ষ ২৫ জনকে বাছাই করা হবে৷ বাংলাদেশের নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসও রয়েছেন তালিকায়৷
সিএনবিসির তালিকায় বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল জয়ীর নাম থাকার বিষয়টি ফেসবুকে জানায় ‘মুহাম্মদ ইউনূস’ শিরোনামের একটি ফেসবুক পাতা৷ এক লাখ সত্তর হাজারের বেশি ভক্ত সমৃদ্ধ এই পাতাটি অধ্যাপক ইউনূসের আনুষ্ঠানিক বা ফেসবুক স্বীকৃত কোন পাতা নয়৷ পাতাটি তাঁর ভক্তদের৷ এই পাতায় সিএনবিসির লোগো যুক্ত একটি ছবি প্রকাশ করা হয় এবং একইসঙ্গে অধ্যাপক ইউনূসের পক্ষে ভোট চাওয়া হয়েছে৷
মূলত ক্ষুদ্রঋণের পথিকৃৎ হিসেবে তালিকায় মুহাম্মদ ইউনূসের নাম রয়েছে৷ আর তাঁর সঙ্গে রয়েছেন স্টিভ জবস, বিল গেটস, মার্ক সাকারবার্গসহ আরো বেশ কয়েকজন বিখ্যাত ব্যক্তি৷ বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সন্ধ্যা অবধি ভোটাভুটির ফলাফলে দেখা গেছে, গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ভোটের হিসেবে এখনো বেশ পিছিয়ে আছেন৷ তবে শুক্রবার সারাদিনে তাঁর পক্ষে ভোট বেড়েছে প্রায় শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ৷ ভোটের হিসেবে তালিকার শীর্ষে রয়েছেন ‘আইগড’ খ্যাত অ্যাপলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত স্টিভ জবস৷
এদিকে, ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় এ সংক্রান্ত একটি পোস্টে মন্তব্য করেছেন অনেকে৷ ফেরদৌস সরকার লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশের জন্য গৌরবজনক নোবেল পুরস্কার নিয়ে আসা মানুষটিকে দেশের মানুষ ঠিকভাবে চিনতে পারলেন না৷ তিনি বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং মর্যাদাপূর্ণ নাগরিকদের মধ্যে অন্যতম৷ পৃথিবীর অনেক মানুষ তাঁকে চেনেন কিন্তু পরিতাপের বিষয়, বাঙালিই তাঁকে চিনতে পারলো না৷” রহমান খান লিখেছেন, ‘‘ ড. মুহাম্মদ ইউনূস, আমরা আপনার জন্য গর্ববোধ করি৷”
প্রসঙ্গত, অধ্যাপক ইউনূসের কর্মকা- নিয়ে বাংলা ব্লগেও নিয়মিত বিভিন্ন নিবন্ধ প্রকাশ হচ্ছে৷ পহেলা ফেব্র“য়ারি সামহয়্যার ইন ব্লগে মোঃ নাহিদ শামস্ লিখেছেন, ‘‘পৃথিবীর ইতিহাসে নোবেল বিজয়ীদের সম্মান ও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়৷ ড. ইউনূসকে পুরো পৃথিবী সম্মানিত করলেও বাঙালী জাতির কিয়দংশের কাছে তিনি যে পরিমাণ বঞ্চনা সইছেন, তার উদাহরণ বিশ্বে বিরল৷”
এই ব্লগার লিখেছেন, ‘‘একজন বাংলাদেশি নোবেল পুরস্কার পেলেন, বিশ্বের সর্বাপেক্ষা প্রভাবশালী বাঙালীদের একজন হলেন- কট্টরপন্থি আওয়ামী সমর্থকগণ তা কোনভাবেই মেনে নেবে না! তারা লজিক দেখাবেন ‘ইউনূস সুদখোর