দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফলকে বিশ্ব সম্প্রদায় ইতিবাচক অর্জন হিসেবে গ্রহণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে ঢাকা-১১ আসনের সাংসদ এ কে এম রহমতুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা এ মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন বানচালের উদ্দেশ্যে বিএনপি ও জামায়াত-শিবির গোষ্ঠীর সকল প্রকার সহিংস তত্পরতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের অপচেষ্টার বিপক্ষে বিশ্ব সম্প্রদায় বাংলাদেশের সাম্প্রতিক নির্বাচনের ফলাফলকে একটি ইতিবাচক অর্জন হিসেবে গ্রহণ করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য আমাকে অভিনন্দন-বার্তা পাঠিয়েছেন। এ ছাড়াও জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ১০টি সংস্থার প্রধানেরা নবনির্বাচিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন বন্ধুপ্রতিম দেশের সরকার ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানেরা বাংলাদেশের নবনির্বাচিত সরকারের সঙ্গে গণতন্ত্র, সুশাসন ও উন্নয়নের ধারাকে সচল রাখতে একযোগে কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।’
সংসদ নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশের সংসদীয় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অগ্রযাত্রা গত পাঁচ বছরে আমাদের উন্নয়ন ও সুশাসনের অর্জনগুলোকে আরও গতিশীল করবে বলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মনে করে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং নবনির্বাচিত সরকারের প্রতি বিশ্ব সম্প্রদায়ের আস্থা এবং সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করার প্রত্যয় আমাদের সরকারের সফল কূটনৈতিক প্রয়াস ও কর্মকাণ্ডের সাক্ষ্য বহন করে।’
প্রধানমন্ত্রীর নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে শেখ হাসিনাকে প্রথম প্রশ্নটি করেন স্বতন্ত্র সাংসদদের জোটের নেতা ও ঢাকা-৭ আসনের সাংসদ মো. সেলিম। এর জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, একটি বাড়ি একটি খামার কর্মসূচিকে স্থায়ী রূপ দিতে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য ‘পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক’ সৃজন করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই ব্যাংক একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক হিসেবে সম্পূর্ণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ক্ষুদ্র সঞ্চয় জমা রাখার একটি ব্যাংক হবে, যা তাদের সঞ্চয়, বিনিয়োগ ও আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে। তিনি আরও বলেন, ‘প্রকল্পের মাধ্যমে জাতিসংঘ ঘোষিত পারিবারিক কৃষি বছর ২০১৪ ও একটি মডেল সৃষ্টি করা হয়েছে, যার মাধ্যমে পারিবারিক উত্পাদন বৃদ্ধি ও এর মধ্য দিয়ে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ পারিবারিক আয় নিশ্চিত করা হবে।’
মাইদুল ইসলামের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, যমুনা নদীতে বাহাদুরাবাদ ও ফুলছড়ির মধ্যে সুড়ঙ্গ (টানেল) করা যেতে পারে।