আমস্টারডাম: বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ এনেছে তুরস্কের একটি ইসলামী সংগঠন। ইন্টারন্যাশনাল কোয়ালিশন ফর ফ্রিডমস অব রাইটস নামের এ সংগঠনের পক্ষে আবেদনটি করেছেন বৃটিশ আইনজীবী টবি ক্যাডম্যান।
মঙ্গলবার রাতে এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি।
এতে আরও বলা হয়েছে, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হয়রানি করার মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার মানবাধিকারের বিরুদ্ধে অপরাধ করছে। ব্যাপক সহিংসতা এবং প্রধান বিরোধী দলের বর্জনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই নির্বাচনের এক মাস পর হেগ-এর আদালতে এমন আবেদন জানানো হলো।
এখন এ আবেদন নিয়ে যাচাই বাছাই করবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। এরপরই তদন্ত করা হবে কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রসিকিউটর ফাতো বেনসোদা।
মঙ্গলবার হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া বিষয়ক গবেষক তেজশ্রী থাপা বলেছেন, ৫ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পর বাংলাদেশে সহিংসতা বৃদ্ধির ঘটনায় তারা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তবে তার বিশ্বাস, সরকার যে পরিমাণ নির্যাতন চালিয়েছে তাকে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের পর্যায়ে ফেলা যাবে না।
ওই রিপোর্টে আরো বলা হয়, বাংলাদেশ বিশ্বের চতুর্থ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। ১৬ কোটি মানুষের এ দেশটি রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত। এক পক্ষে রয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। অন্য পক্ষে রয়েছে মধ্যপন্থি বিএনপি।
মঙ্গলবার টবি ক্যাডম্যান যে আবেদনটি জমা দিয়েছেন, তাতে তিনি সরকারি বাহিনীর গুলি, আটক ও বেসামরিক বিক্ষোভকারীদের নির্যাতনে সুস্পষ্ট কিছু অভিযোগ তুলে ধরেছেন।
আদালতে দাখিল করা অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালে প্রথম ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ সরকার। তারপর থেকে সরকারি বাহিনীর হাতে কয়েক শ’ মানুষ নিহত হয়েছেন। বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত না হওয়ায় এবং মিডিয়া, আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থাগুলো এসব অপরাধ প্রামাণ্য হিসেবে উপস্থাপন করতে সক্ষম না হওয়ায়, এক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট সংখ্যা নিরূপণ করা কঠিন ব্যাপার।
রিপোর্টে বলা হয়, এ বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বক্তব্য পেতে যোগাযোগ করে এপি। কিন্তু কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এর আগে বিএনপি’র জোট সঙ্গী জামায়াতে ইসলামীর আইনি প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন টবি ক্যাডম্যান