মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার মেঘনা নদীতে পুলিশ ও ডাকাতের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে ১ পুলিশ কনস্টেবল নিহত ও ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে মেঘনা সেতুর নিচে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গজারিয়া থানার পুলিশ কনস্টেবল মো. মালেক নিখোঁজ হয়। বুধবার সকালে মেঘনা নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। আহত পুলিশ সদস্যদের ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন-অর রশীদ জানান, রাতে নদীতে টহলরত পুলিশ মেঘনা সেতুর নিচে একটি রড ভর্তি ট্রলারকে চ্যালেঞ্জ করে। তখন ট্রলার থেকে একদল ডাকাত পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছোঁড়ে। এ সময় পুলিশের এক জন এএসআই সহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হয় এবং কনস্টেবল মালেকক নদীতে পড়ে গিয়ে নিখোঁজ হয়। সকালে দমকল বাহিনীর ডুবুরীর এসে নদীর তলদেশ থেকে মালেকের লাশ উদ্ধার করে। ডাকাতরা রড ভর্তি ট্রলার ফেলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ট্রলারসহ ও ট্রলারে থাকা বেশ কিছু দেশিয় অস্ত্র উদ্ধার করে।
ওসি আরো জানান, এ সময় এ এস আই প্রদীপ কুমার, কনস্টেবল মো. শামিম ও কনস্টেবল মো. ইব্রাহিম আহত হয়। বর্তমানে তাদের ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় নিখোঁজ কনস্টেবল মালেককে উদ্ধারের জন্য নদীতে ডুবুরি নামানো হলে সকালে তার লাশ উদ্ধার হয়।
এদিকে দীর্ঘক্ষণ এ বন্দুকযুদ্ধ চলতে থাকলে ডাকাত দল রড ভর্তি ট্রলার ফেলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ রাজিব হোসেন (২৫), বাবু মিয়া (২২), সৌরভ হোসেন (২৫) ও ফারুক হোসেন (২৭) নামে ৪ জলদস্যুকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত সবার বাড়ি গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী গ্রামে। পুলিশ রডসহ ট্রলার জব্দ করে ও ট্রলারে থাকা বেশ কিছু দেশিয় অস্ত্র উদ্ধার করে। এ ঘটনায় গজারিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।