মিরপুর টেস্টে মাহেলা জয়াবর্ধনে ও কুমার সাঙ্গাকারা হাতে-কলমে ভালোই ‘শিখিয়েছিলেন’ বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের এই দুই মহিরুহ চট্টগ্রামেও বেশ শেখালেন। কিন্তু তামিম ইকবাল বোধ হয় শিক্ষাটা ভালোভাবে নিতে পারেননি। মিরপুরে টেস্টে দুই ইনিংসের মতো চট্টগ্রামেও আজ নিজের উইকেট শ্রীলঙ্কান বোলারদের দিয়ে এলেন। শ্রীলঙ্কার গড়া ৫৮৭ রানের পাহাড়ের জবাবে দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৮৬। এখনো পিছিয়ে ৫০১ রানে।
সুরঙ্গা লাকমলের বলে তামিম যখন বোল্ড হলেন, তখন নিজের তো বটেই, দলের স্কোরবোর্ডে যোগ হয়নি একটি রানও। এরপর অবশ্য ইমরুল কায়েস ও শামসুর রহমান কোনো মতে দিনটি পার করেছেন। কোনো মতে বলতে, ইমরুল এবং শামসুর দুজনেই
কোনো মতে বেঁচে ফিরেছেন। দিলরুয়ান পেরেরার বলে শামসুরের খোঁচা দেওয়া বলটি স্লিপে দাঁড়ানো মাহেলা জয়াবর্ধনে হাতে জমাতে পারেননি। এর কিছু পরে অজন্তা মেন্ডিসের গুগলিতে উচ্চাভিলাষী শট খেলতে গিয়ে শামসুর বল উঠিয়ে দিলেন বাতাসে। মিড-অনে দাঁড়ানো নুয়ান প্রদীপ ক্যাচটি লুফে নিতে পারেননি বলে এ দফা রক্ষা!
শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানরা বিশেষ করে সাঙ্গাকারা ভালোভাবেই বুঝিয়েছেন উইকেটে থিতু হতে পারলেই রান আসবে স্রোতের মতো। প্রশ্ন তো সেখানেই, বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা কি পারবেন আগামীকাল দাঁড়িয়ে যেতে? শ্রীলঙ্কা নিজেদের প্রথম ইনিংসে রান তুলেছে ওভারপ্রতি ৩.৭৪ গড়ে। আর দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশ সেখানে ৩.৪৪। ইমরুল এবং শামসুরের মাত্রাতিরিক্ত শট খেলার প্রবণতা আশ্বস্ত করেনি, বরং শঙ্কা জাগিয়েছে ক্ষণে ক্ষণে। অতিরিক্ত শট খেলার লোভ সামলে তৃতীয় দিনে বাংলাদেশের লক্ষ্য হতে হবে শ্রীলঙ্কার বিশাল সংগ্রহের জবাব যতটা সম্ভব দিয়ে যাওয়া।