কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকর করার পরপরই বিদেশে সব বাংলাদেশি দূতাবাসে ব্রিফিং নোট পাঠানো হয়। ব্রিফিং নোটে বলা হয়েছে, কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড তাঁর বিরুদ্ধে প্রমাণিত গণহত্যা, হত্যা, ধর্ষণ ও মানবতাবিরোধী সুনির্দিষ্ট অপরাধের কারণে দেওয়া হয়েছে, কোনো রাজনৈতিক কারণে নয়।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ন্যায়বিচারের সর্বোচ্চ মান ও স্বচ্ছতা বজায় রেখে এবং ন্যায়বিচারের সব পন্থা যথাযথভাবে শেষ করে আদালত দণ্ড দেন এবং তা কার্যকর করা হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আপিলের অধিকার দেওয়া হয়েছে, যা বিশ্বের অন্য কোনো দেশে নেই। এসব পদক্ষেপের কারণে বহির্বিশ্বে যুদ্ধাপরাধের রায় নিয়ে তেমন কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি।
নওগাঁ-৬ আসনের সাংসদ মো. ইস্রাফিল আলম মন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর পাকিস্তানের বাংলাদেশবিরোধী কার্যক্রমের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে কি না? উত্তরে শাহরিয়ার আলম জানান, কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে ও পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদে এ বিষয়ে প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে যথাযথ কূটনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ১৭ ডিসেম্বর পাকিস্তানের হাইকমিশনার আফ্রাসিয়াব মেহেদি হাশমিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয় এবং পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ ও প্রাদেশিক পরিষদে প্রস্তাব গ্রহণ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল। এতে দুদেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের জন্য ভালো ফল বয়ে আনবে না।
কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ডের বিষয়ে কিছু প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে জানিয়ে সংসদে শাহরিয়ার আলম বলেন, দেশগুলো মৃত্যুদণ্ডাদেশ পরিহারের অনুরোধ জানিয়েছিল। কিন্তু এটি সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশের নিজস্ব আইনি ব্যবস্থার অন্তর্গত এবং বিশ্বের অনেক দেশেই মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রয়েছে।