দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৩ ডিসেম্বর : ইরাকের পূর্বাঞ্চলে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জঙ্গিদের লৰ্যবস্তুতে সমপ্রতি বিমান হামলা চালিয়েছে ইরান৷মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল জন কারবি মঙ্গলবার বলেন, ইরাকে আইএস’র লক্ষ্যবস্তুতে গত কয়েক দিন ধরে বিমান হামলা চালাচেছ ইরান৷ তবে ইরানের বিমান হামলার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোন সমন্বয় নেই৷ যুক্তরাষ্ট্র গত আগস্টে ইরাকে আইএস-এর বিরুদ্ধে প্রথম বিমান অভিযান চালায়৷ গত সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে সিরিয়াতেও আইএস-বিরোধী অভিযান শুরম্ন হয়৷ এই অভিযানে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্র দেশগুলো অংশ নেয়৷সিরিয়ায় বিমান হামলায় সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্দান, বাহরাইন, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, ব্রিটেন, কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ড অংশ নিচ্ছে৷ইরানের সামরিক বাহিনীর উধর্্বতন এক কর্মকর্তা বিমান হামলায় সহযোগিতা করা নিয়ে আলোচনার কথা নাকচ করে দিয়েছেন৷
এদিকে ইরাক ও সিরিয়ায় আইএস জঙ্গিদের নির্মূলের লৰ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন আনত্মর্জাতিক জোটের কর্মকর্তারা সম্মেলনের জন্য ব্রাসেলসে ন্যাটোর সদর দপ্তওে জড়ো হচ্ছেন৷ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির সভাপতিত্বে বৈঠকে সামরিক কৌশল নির্ধারণ এবং আইএসে নতুন বিদেশী যোদ্ধা নিয়োগ বন্ধ ও আইএসকে নির্মূলের কৌশল নিয়ে আলোচনা হবে৷ কেননা, আইএস বিভিন্ন পশ্চিমা দেশ থেকে জিহাদি নিয়োগ করছে৷
পেন্টাগন জানায়, ইরাকের পূর্বাঞ্চলে সম্প্রতি আইএস-বিরোধী বিমান অভিযানে ইরানও অংশ নিয়েছে৷ আইএস’র বিরম্নদ্ধে যুদ্ধে চিরশত্রম্ন প্রতিবেশী দুই দেশ একই প্লাটফর্মে আসলেও ওয়াশিংটন জানায়, যুক্তরাষ্ট্র বাহিনীর সাথে সমন্বয় করে অভিযান চালাচ্ছে না ইরান৷ তারা পৃথকভাবে বিমান অভিযান পরিচালনা করছে৷ইরাকের দিয়ালা প্রদেশে আইএসের লক্ষবস্তুতে ইরানের বিমান বাহিনী হামলা করার পর পেন্টাগনের মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল জন কারবি এর সত্যতা নিশ্চিত করেন৷তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে এমন ইঙ্গিত আছে যে, ইরান সুনিশ্চিতভাবে গত কয়েক দিনে এফ-৪ ফ্যানটমস বিমান দিয়ে হামলা চালিয়েছে৷ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর উপ-প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাসুদ জাজাইরি বিমান হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতার কথা নাকচ করে দিয়েছেন৷তিনি বলেন, ইরাকে অস্থিরতা ও সম্যসার জন্য যুক্তরাষ্ট্র দায়ী বলে ইরান মনে করে৷