ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ও চেতনা নিয়ে গঠিত হচ্ছে জাতীয় নাগরিক কমিটি।

আজ রবিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ কমিটির আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ ঘটবে।

গতকাল শনিবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে দেশের সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণ এবং সহস্রাধিক শহীদ ও আহতদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে ফ্যাসিস্ট শাসন থেকে মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশ। এই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের দ্বিতীয় ধাপ হিসেবে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ঘটিয়ে নতুন রাজনৈতিক কাঠামোর লক্ষ্য অর্জনের গুরুত্ব উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান যে নতুন রাজনৈতিক সম্ভাবনা তৈরি করেছে তা বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশকে পুনর্গঠনের প্রয়োজন। নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রণয়নে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে নতুন ঐতিহাসিক চুক্তির মাধ্যমে দেশের জনগণকে সংগঠিত করা হবে। এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে আগামীকাল (রবিবার) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাতীয় নাগরিক কমিটির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে সবাইকে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য আরিফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ও উত্তরাধিকারকে বহন করে জাতীয় নাগরিক কমিটি গঠন করা হচ্ছে। এই কমিটি দেশের ৬৪ জেলা, ১২ মহানগর এবং থানার পর্যায়ে কাজ করবে এবং ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপে প্রয়োজনীয় সংস্কারে প্রেশার গ্রুপ হিসেবে ভূমিকা রাখবে।’

এদিকে আজ রবিবার থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের সফর শুরু হবে বলে জানা গেছে। এ সফরে একটি সমন্বয়ক দল দেশের প্রতিটি জেলায় ছাত্র-জনতার সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেবে।

উল্লেখ্য, তাদের প্রথম সভাটি অনুষ্ঠিত হবে মুন্সিগঞ্জে।