গত ৭ অক্টোবর আকস্মিক হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরাইলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরাইলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের একজন ছিলেন ইসরাইলি নারী নোয়া আরগামানি।
জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পাওয়ার পর ইসরাইলি গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়, হামাস যোদ্ধারা আরগামানিকে প্রহার করেছেন এবং তার চুল কেটে ফেলেন।
কিন্তু এই দাবি নাকচ করে দিয়েছেন আলোচিত আরগামানি। তার দাবি, ইসরাইলি গণমাধ্যমে তার বক্তব্য বিকৃত করে উপস্থাপন করা হয়েছে। জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হওয়া এই নারীর ভাষ্য, উদ্ধার অভিযানে ইসরাইলে সেনাদের আক্রমণেই আহত হন তিনি।
শুক্রবার জাপানের টোকিওতে তিনি বলেন, ‘এখানে আমার কথাকে অপ্রাসঙ্গিকভাবে কিংবা বিভ্রান্তিকরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। আমার বন্দিদশার সময় হামাস সদস্যরা আমাকে আঘাত করেনি, তারা আমার চুল কাটেনি; ইসরাইলি বিমান বাহিনীর এক পাইলট একটি দেয়াল গুঁড়িয়ে দিলে আমি আহত হই। আমি ৭ অক্টোবরের শিকার। আমি মিডিয়ার হাতে আবারো শিকার হতে চাই না।’
গত জুন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গাজার নুসেরাত ও দির আল-বালা উদ্বাস্তু শিবির থেকে বেশ ২৬ বছর বয়সী আরগামানিকে উদ্ধার করে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। ওই অভিযানের সময় অন্তত ২৩৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়। তাদের বেশিভাগই ছিল নারী ও শিশু। এখনো
হামাসের হাতে আটক রয়েছেন আরগামানির বয়ফ্রেন্ড। বাকি জিম্মিদের মুক্তির পথ তৈরি করতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলেছেন তিনি।
আরগামানি আরো বলেন, ‘আমার বয়ফ্রেন্ড আভিনাতান এখনো সেখানে আছে।খুব বেশি দেরি হওয়ার আগেই তাদের ফিরিয়ে আনা দরকার। আমরা ইতোমধ্যেই অনেক বেশি লোককে হারিয়ে ফেলেছি। আর কাউকে হারাতে চাই না।’
আরগামানির বাবা শান্তি ফেরাতে গাজায় জিম্মিদের মুক্তি এবং ফিলিস্তিনি দুর্ভোগের অবসানের আহবান করেছেন।
‘আমাদের এবং তাদের মধ্যে এই হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে হবে যাতে এই দুই দেশের মধ্যে সর্বদা প্রকৃত শান্তি নিশ্চিত হতে পারে’।