থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ধনকুবের থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়েকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়ার পক্ষে রায় দিয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে আইনপ্রণেতারা ৩৭ বছর বয়সী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিয়েছেন। এতে পেতংতার্নের পক্ষে ভোট পড়েছে ৩১৯টি। আর বিপক্ষে গেছে ১৪৫টি।
পেতংতার্ন হবেন থাইল্যান্ডের সবচেয়ে কনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী। তা ছাড়া তিনি হবেন দেশটির দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী। এর আগে তার ফুফু ইংলাক সিনাওয়াত্রা প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন।
গত বুধবার থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্রেথা থাভিসিনকে পদচ্যুত করে দেশটির সাংবিধানিক আদালত। পাশাপাশি তার মন্ত্রিসভা ভেঙে দেয়ারও রায় দেয় আদালত।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী পদে নিজেদের প্রার্থী হিসেবে পেতংতার্নের নাম ঘোষণা করে ফেউ থাই পার্টি। স্রেথা ও পেতংতার্ন দুজনই ফেউ থাই পার্টির নেতা।
স্রেথার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত এক আইনজীবীকে মন্ত্রী নিয়োগ দিয়েছিলেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি ‘নৈতিকতার নিয়ম লঙ্ঘন’ করেছেন।
২০২৩ সালের নির্বাচনে ফেউ থাই পার্টি দ্বিতীয় হয়েছিল। তবে তারা জোট সরকার গড়ে তোলে।
পেতংতার্ন হলেন গত দুই দশকে থাইল্যান্ডে সিনাওয়াত্রা পরিবার থেকে প্রধানমন্ত্রী হতে যাওয়া চতুর্থ ব্যক্তি। অপর তিনজনের সবাই সেনা অভ্যুত্থান কিংবা সাংবিধানিক আদালতের রায়ে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন।
থাইল্যান্ডের স্কুল এবং যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন পেতংতার্ন। সিনাওয়াত্রা পরিবারের মালিকানাধীন রেন্ডে হোটেল শিল্প গোষ্ঠীতে কয়েক বছর কাজ করেছেন তিনি। তার স্বামী ওই শিল্পগোষ্ঠীর উপপ্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত।
পেতংতার্ন ২০২১ সালে ফেউ থাই পার্টিতে যোগ দেন। ২০২৩ সালের অক্টোবরে তাকে দলের নেতা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
সূত্র : এএফপি