কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় যারা হেলিকপ্টার থেকে গুলি করেছে এবং নির্দেশ দিয়েছে সবাই অপরাধী। বুধবার (১৪ আগস্ট) এ বিষয়ে রিট শুনানিতে এমন মন্তব্য করেন বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ।

হাইকোর্ট জানান, বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের প্রজ্ঞাপনে আন্দোলনকারীদের দোষী করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চেয়ে করা রিটের আদেশ আগামীকাল বৃহস্পতিবার ধার্য করেছেন আদালত।

এর আগে, অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার রিটটি দায়ের করলে শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট। রিটে নিহত ৯ শিশুর বিষয়ে তদন্তের পাশাপাশি প্রত্যেক পরিবারকে ১ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলা হয়। সেই সঙ্গে পরবর্তীতে যদি অন্য কোনো শিশু মৃত্যুর সন্ধান পাওয়া যায় তাকেও এই ক্ষতিপূরণের আওতাভুক্ত করা হবে।

অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার গত ১ আগস্ট বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার অংশ-বিশেষ সংগ্রহ করে রিটটি দাখিল করেন। ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন চেয়ে দাখিল করা রিটটি ৪ আগস্ট বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের বেঞ্চে উপস্থাপন করলে তারা শুনানি গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান। এ সময় বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি বলেছিলেন, রাজনৈতিক ইস্যু রাজপথে সেটেল হওয়া উচিত।

পরে সেই বেঞ্চে শুরু হয় বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে পুলিশের সরাসরি গুলি বন্ধে রিটের শুনানি। যা সরাসরি খারিজ করেছিলেন হাইকোর্ট।