শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলন থেকে দৃষ্টি ফেরাতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশ অস্ত্রসহ বিস্ফোরক রেখে তা উদ্ধারের নাটক মঞ্চস্থ করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। একই সঙ্গে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের মূল ফটক তালাবদ্ধ করে ক্রাইম সিন করে রেখেছে বলে মনে করে দলটি। এ বিষয়ে দেশবাসীসহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

আজ বুধবার গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন যৌক্তিক। কিন্তু সেই দাবিকে আমলে না নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ন্যক্কারজনক হামলা চালিয়ে হতাহত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এখন ক্ষমতা হারানোর আতঙ্কে রয়েছে। যার কারণে বিএনপির প্রধান কার্যালয়ে মাঝরাতে অস্ত্র ও বিস্ফোরক রেখে তা উদ্ধারের নাটক সাজানো হয়েছে। এর উদ্দেশ্যে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করা এবং দৃষ্টি ভিন্ন দিকে নিয়ে যাওয়া।

দেশবাসীসহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে রিজভী বলেন, সরকার সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলন থেকে দৃষ্টিতে ফেরাতে এখন বিএনপির ওপর ক্র্যাকডাউন শুরু করেছে। আমাদের বহু নিরীহ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এর আগে গভীর রাতে তাৎক্ষণিক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘এটা (পুলিশের অভিযান) সরকারের একটি নোংরা তামাশা, নোংরা নাটক। উদ্দেশ্য হচ্ছে, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের এক ধরনের বার্তা দেওয়া, তারা যেন ভয় পেয়ে যায়। আমি সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এই ঘৃণ্য চক্রান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি, আমি ঘৃণা জানাচ্ছি।’