বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফরে যাচ্ছেন ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে। তিনি ২০ বিলিয়ন ডলার চাচ্ছেন। আর চীনে যাওয়ার জন্য উনাকে অনুমতি নিতে হয়েছে। দিল্লির অনাপত্তিপত্র নিয়ে চীন যাচ্ছেন তিনি। আওয়ামী লীগের মন্ত্রীরা বলছেন- শেখ হাসিনা চীনে যাচ্ছেন তাতে ভারতের কোনো আপত্তি নেই। প্রধানমন্ত্রীর চীনে যেতে ভারতের সার্টিফিকেট নিতে হয়। তাহলে কোথায় আজ স্বাধীনতা?’

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, শ্রমিকদল নেতা সুমন ভূঁইয়াসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল শেষে আজ শুক্রবার তিনি এসব কথা বলেন। মিছিলটি নয়াপাল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে শুরু হয়ে কাকরাইল-ফকিরাপুল মোড় হয়ে আবার নয়াপল্টনে এসে শেষ হয়।

ঢাকা মাহনগর শ্রমিক দলের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত পথসভায় রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘যে স্বাধীনতার পতাকা এদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের রক্ত দিয়ে অর্জন করেছিল সেটা আজ কোথায়? ৩০ লাখ মা-বোনদের ইজ্জতের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম সেটা আজ কোথায়? আজকে ভারতের অনুমতি নিয়ে শেখ হাসিনাকে চীন যেতে হয়। এই লজ্জা আজকে এই জাতির। এই কাজ বেগম খালেদা জিয়া কখনো করেননি।’

বাজার পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘শ্রমিকদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আজ কাঁচা মরিচের দাম ৩২০ টাকা, শাকসবজির দাম সেঞ্চুরি পার হয়ে গেছে। টমেটোর দাম ডাবল সেঞ্চুরি পার হয়ে গেছে। শ্রমিকরা এই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কিনতে পারবে না।’

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘এই যে অনাচার, জনগণের পেটে লাথি মেরে শেখ হাসিনা সরকারি কর্মকর্তাদের সুযোগ করে দিয়েছেন কোটি কোটি টাকা লুটপাটের। বেনজীর-আজিজদের শুধু এক/দুই কোটি টাকা নয়, হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটের সুযোগ করে দিয়েছেন। সরকারি কর্মকর্তারা শুধু মুজিব কোট পরে ‘‘জয় বাংলা’’ স্লোগান দিয়ে তারা আজকে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিটি ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার কৌশল ব্যর্থ হয়েছে। সুমন ভুঁইয়াদের কারাগারে নিলে সবুজরা রাজপথে বের হবে। হামলা-মামলা-গ্রেফতার-নির্যাতন করে নেতাকর্মীদের দমন করা যাবে না। আপনার ময়ূর সিংহাসন লুটেপুটে ভেঙে চুরমার করে দিবে জনগণ। একনায়কতন্ত্র কায়েম করে হিটলার—মুসোলিনিরা রেহাই পায়নি, আপনিও পাবেন না। অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন, বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিন। সুমনসহ সব রাজবন্দীদের মুক্তি দিন।’

মিছিলে আরও অংশ নেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, শ্রমবিষয়ক সহ-সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, ফিরোজ উজ জামান মামুন মোল্লা, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, ওলামা দলের আহ্বায়ক সেলিম রেজা, সদস্যসচিব আবুল হোসেন, মৎস্যজীবী দলের সদস্যসচিব আব্দুর রহিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি ডা. জাহিদুল কবির প্রমুখ।