নীলফামারীতে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে এক উপসহকারী প্রকৌশলী ঘুষ নিয়েছেন বলে লিখিত অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী। আজ বুধবার সচিবালয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী ওয়াছী উদ্দিনের সঙ্গে দেখা করে এ অভিযোগ করেন নীলফামারী গণপূর্ত বিভাগে চাকরিরত উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আশরাফুজ্জামানের স্ত্রী রেজওয়ানা হাসনাত খুশবু।

অভিযোগকারী রেজওয়ানা হাসনাত খুশবু বলেন, ‘ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণকাজে স্বামীর ঘুষ নেওয়ার তথ্য পেয়ে বারবার অনুরোধ করেও তাকে (আশরাফুজ্জামান) দুর্নীতি থেকে সরাতে ব্যর্থ হয়েছি। এমনকি দুর্নীতিতে বাধা দেওয়ায় আমাকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়। এ অবস্থায়, পরিবার ও দেশের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ করার কোনো বিকল্প ছিল না।’

তিনি বলেন, ‘বিয়ের সময় অতি সাধারণ পরিবারের সন্তান হলেও বর্তমানে আমার স্বামীর রয়েছে বিলাসবহুল বাড়িসহ বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি। ঘুষ-দুর্নীতি ছাড়া এটি কোনোভাবেই সম্ভব নয়। দুর্নীতির তদন্ত এবং আমার ওপর নির্যাতনের প্রতিকার চাই।’

উল্লেখ্য, ইসলামিক জ্ঞান ও সংস্কৃতি প্রসারের লক্ষ্যে, ২০১৪ সালের নির্বাচনী ইশতেহার অনুসারে ২০১৭ সালে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মোট ৬৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণে প্রকল্প নেয় আওয়ামী লীগ সরকার। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অধীনে এই প্রকল্পের নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পালন করে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।

দুদফায় মেয়াদ বাড়ানোর পরও প্রকল্প শেষ না হওয়ায় আরও দুবছরের জন্য প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়। আর শুরুতে নেওয়া ৮৪২ কোটি টাকার প্রকল্পের খরচ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা।

সারাদেশে এ পর্যন্ত মোট ৩০০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৬ সালের জুনে শেষ হবে।